Advertisement
Advertisement

Breaking News

S Jaishankar

সীমান্তে উত্তেজনার মাঝেই চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ জয়শংকরের, কী নিয়ে আলোচনা?

চলতি বছরের জানুয়ারিতে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারত-চিন সীমান্ত।

S Jaishankar, Wang hold talks at G20 meeting

চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে করমর্দনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী। জোহানেসবার্গে।

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:February 22, 2025 9:44 am
  • Updated:February 22, 2025 9:44 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি লাদাখ ভূখণ্ড নিয়ে দুই নতুন প্রদেশ তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছে চিন। যা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। ফের নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছে দুদেশের সীমান্তে। এই আবহে জি ২০-র এক সম্মেলনে গিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে। 

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে বসেছে জি-২০ বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক। এই সম্মেলনের ফাঁকেই গতকাল শুক্রবার ওয়াং ই-র সঙ্গে দেখা করেন জয়শংকর। করমর্দন করে সৌজন্য বিনিময় করেন দুই বিদেশমন্ত্রী। বৈঠকের ছবি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে জয়শংকর লেখেন, ‘জি-২০ বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের সুবাদে আজ চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’এরপর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা, বিমান সংযোগ ও ভ্রমণ সুবিধা নিয়ে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী আলোচনা করেছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে বেশ কয়েক দফায় দুদেশের সেনাবাহিনী আলোচনায় বসে। এরপর গত বছরের অক্টোবর মাসেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চুক্তি হয় ভারত ও চিনের মধ্যে। সেই অনুযায়ী ডেমচক, দেপসাংয়ের মতো একাধিক এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয় দুদেশ। কিন্তু সীমান্তের পরিস্থিতি যে আদৌ শান্ত হয়নি ফের তার প্রমাণ মেলে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারত-চিন সীমান্ত। লাদাখ ভূখণ্ড নিয়ে ২ নতুন প্রদেশ তৈরি করার কথা ঘোষণা করে বেজিং। হোটান প্রদেশে নতুন ২ কাউন্টি তৈরি করার কথা জানায় তারা। যার মধ্যে রয়েছে লাদাখের অংশ। স্বাভাবিকভাবেই কমিউনিস্ট দেশটির এই আগ্রাসনে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে দিল্লি। ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিদেশমন্ত্রক। পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র নদে চিনের বাঁধ তৈরি করা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা হিসাবে এই বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement