সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবারই কাজাখস্তানে পৌঁছেছেন দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। দুদিনের এই সম্মেলন শুরুর আগে কাজাখস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সারলেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। মঙ্গলবার রাতে সেই সাক্ষাতের ছবি এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী লেখেন, মধ্য এশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত পারস্পারিক অংশদারীত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয় এই বৈঠকে।
কাজাখস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী মুরত নুরতলুর সঙ্গে মঙ্গলবার দীর্ঘ বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। বৈঠকের পর সে দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে ছবি প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘আজ কাজাখস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী মুরত নুরতলুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনন্দিত। SCO কাউন্সিল অফ হেডস অফ স্টেট সামিটের আতিথেয়তা এবং ব্যবস্থার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জনাই। মধ্য এশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত পারস্পারিক অংশদারীত্ব বৃদ্ধি এবং দুই দেশের সম্পর্ক আরও দীর্ঘ করতে নানান ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে আমাদের।’
Delighted to meet DPM & FM Murat Nurtleu of Kazakhstan in Astana today.
Thanked him for the hospitality and arrangements for the SCO Council of Heads of State Summit. Discussed our expanding Strategic Partnership and India’s increasing engagement with Central Asia in various… pic.twitter.com/0Z6t3SyPxG
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) July 2, 2024
উল্লেখ্য, ৩ ও ৪ জুলাই দুদিনের জন্য এসসিও সম্মেলন বসেছে কাজাখস্তানে। এখানে প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার কথা থাকলেও সংসদের অধিবেশনের কারণ দেখিয়ে সেখানে উপস্থিত হননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিবর্তে বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তবে অধিবেশন চলাকালীন অতীতে মোদি বিদেশ সফরে গেলেও কাজাখস্তান না যাওয়ায় উঠেছে প্রশ্ন। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, চিনের উপস্থিতির জেরে এই বৈঠক এড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আসলে সম্প্রতি মার্কিন প্রতিনিধি দল দলাই লামার সঙ্গে দেখা করে চিনবিরোধী বিবৃতি দেয় ধরমশালা থেকেই। পরে মোদির সঙ্গে সেই দলাই লামার বৈঠকও হয়। এই পরিস্থিতিতে বেজিং যে প্রবল চটেছে তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি ইটালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির আমন্ত্রণে মোদির জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে চিনবিরোধী বৃহৎ শক্তির সঙ্গে বৈঠকও চিনকে রুষ্ট করেছে। এহেন পরিস্থিতিতে এসসিও সম্মেলনে মোদির অনুপস্থিতি চিনের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়ানোর কূটনৈতিক কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও চিনের উদ্যোগে ২০০১ সালে ইউরেশীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করতে গঠিত হয় এসসিও। কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ভারত, পাকিস্তানও যার সদস্য হয়েছে একে একে। এবছর অন্তর্ভুক্ত হবে ইরান ও বেলারুশ। ২০১৭ সালে কাজাখস্তানেই বসেছিল এসসিও সম্মেলনের (SCO summit) আসর। সেবার কিন্তু মোদি গিয়েছিলেন সেখানে। সেবারই পূর্ণ সদস্য হিসেবে প্রথমবার ওই সম্মেলনে যায় ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.