Advertisement
Advertisement

Breaking News

Russia-Ukraine War

ইউক্রেনের শহরে শহরে অবাধ লুঠতরাজ রুশ সেনার! খাদ্য ও ওষুধের অভাবে ধুঁকছে আমজনতা

রবিবারই স্লাভুতিচ শহরের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।

Russians loot stores, beat protesters in Kherson। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:March 27, 2022 12:15 pm
  • Updated:March 27, 2022 12:15 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) থামার নাম নেই। রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক আদালত যুদ্ধ থামানোর নির্দেশ দিয়েছে পুতিনকে। তবুও রুশ হামলা অব্যাহত। রবিবার স্লাভুতিচ শহরে ঢুকে পড়েছে রুশ (Russia) সেনা। অপহরণ করেছে শহরের মেয়রকে। এদিকে খেরসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেখানে অবাধে লুঠতরাজ চালাচ্ছে পুতিনের সেনা।

দেখতে দেখতে ৩২ দিন হয়ে গিয়েছে যুদ্ধের। কিয়েভ এখনও দখল করতে পারেনি রাশিয়া। কিন্তু রবিবার স্লাভুতিচ দখল করে নিল রুশ বাহিনী। শোনা গিয়েছে শহর দখল করার মেয়রকেও অপহরণ করেছে তারা। শনিবারই পরিস্থিতি বুঝে ওই মেয়র ফেসবুকে জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর অসমসাহসী লড়াই সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার মতো শক্তি নেই তাদের। এরপরই রবিবার স্লাভুতিচ দখল করে নিল পুতিনের সেনা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের স্বেচ্ছায় আশ্রয় দিলে বাজেয়াপ্ত হবে সম্পত্তি, কাশ্মীরে জঙ্গিদমনে কড়া দাওয়াই পুলিশের]

তবে কেবল ইউক্রেনীয় সেনাই নয়, সেদেশের সাধারণ মানুষও লাগাতার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে রুশ সেনার বিরুদ্ধে। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, গত ২১ মার্চ থেকে খেরসন শহরে লুটপাট চালাচ্ছে রুশ সেনা। শহর জুড়ে মৃতদেহ। পাশাপাশি ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে গর্জে উঠে রাস্তায় নেমেছেন প্রতিবাদীরা। অভিযোগ, তাঁদেরও মারধর করছে রুশ সেনা।
এদিকে শনিবার পশ্চিম ইউক্রেনের শহর লিভিভ কেঁপে উঠেছে তিনটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দে। পোল্যান্ডে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখান থেকে লিভিভের দূরত্ব খুব বেশি নয়। মাত্র ৪৫ মাইলের মধ্যেই এই হামলাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রুশ ফৌজ। তারপর থেকেই ডেভিড বনাম গোলিয়াথের লড়াইয়ের দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। মুখে পুতিন বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিলেও সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে ফৌজ পাঠাতে অস্বীকার করে আমেরিকা ও ন্যাটো। তাদের আশঙ্কা ইউক্রেনে সেনা পাঠালে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ন্যাটো। অর্থাৎ ময়দানে জেলেনস্কিকে একাই বিশাল রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। আর ইউক্রেনের সেনার জন্য পরিস্থিতি যে ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে তা স্পষ্ট।

[আরও পড়ুন: মাটি কামড়ে পড়ে থাকাই লক্ষ্য, গোয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু তৃণমূলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement