সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনাবাহিনীর উপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন! ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহের পর ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এবার ‘বিদ্রোহী’ রুশ ফৌজের শীর্ষ কমান্ডার মেজর জেনারেল ইভান পোপোভ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি ইউক্রেন ফ্রন্টে পরিস্থিতি ও রুশ সেনাদের দুর্দশা নিয়ে মুখ খোলেন মেজর জেনারেল ইভান পোপোভ। অভিযোগ, তারপরই তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের দক্ষিণ জাপরজাই অঞ্চলে রুশ সেনার ৫৮তম সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন পোপোভ। তাঁর কথা প্রকাশ্যে এসেছে একটি অডিও বার্তায়। তিনি বলেন, “আমি কাপুরুষ নই। মৃত রুশ যোদ্ধাদের মানে মিথ্যে বলার কোনও অধিকার আমার নেই। তাই আমি বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি।”
পুতিনের রাশ যে ক্রমে ঢিলে হচ্ছে তা স্পষ্ট করে রুশ ফৌজের ইন্টেলিজেন্স ফেলিওর নিয়ে মুখ খুলেছেন মেজর জেনারেল ইভান পোপোভ। ইউক্রেনীয় বাহিনীর গোলাবর্ষণের মোকাবিলায় রুশ গোলন্দাজ বাহিনীর ব্যর্থতা নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। পোপোভ দাবি করেন, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ ষড়যন্ত্র করে তাঁকে পদচ্যুত করেছেন। পোপোভের কথায়, “যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের ফৌজ আমাদের প্রতিরক্ষা বলয় ভেদ করতে পারেনি। কিন্তু এই ঘরের শত্রুরা সেনার পিঠে ছুরি মেরেছে।”
এদিকে, ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর মাথায় বসানো হয়েছে নতুন মুখ। আগের নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিন কোথায় কেউ জানেন না। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নতুন পছন্দ আন্দ্রেই ত্রোশেভ ওরফে ‘গ্রে হেয়ার’।
বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ওয়াগনার বাহিনী যে এইভাবে ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে মস্কোর দিকে অগ্রসর হবে, সেই গোয়েন্দা তথ্য নাকি হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগনে কয়েক দিন আগে পৌঁছেছিল। মার্কিন প্রশাসন ওই তথ্য পেয়েও চুপ করে ছিল। মার্কিন প্রশাসন নাকি চাইছিল, রাশিয়ায় যা ঘটে ঘটুক। শেষ মুহূর্তে পুতিন পরিস্থিতি কিছুটা সামলে নেওয়ায় হতাশ আমেরিকা ও ইউরোপের কূটনৈতিক মহল। হতাশা গ্রাস করেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউক্রেনীয় সেনাকেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.