সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার নাগরিক হিসাবে লজ্জিত, এমনই মত প্রকাশ করে ইস্তফা দিলেন রুশ কূটনীতিক। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত রুশ কূটনীতিক বরিস বনদারেভ। চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন তিনি। তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জেনে নেদারল্যান্ডসের কূটনীতিক রবার্ট গ্যাব্রিয়েলস অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খোলা চিঠি লিখে বরিস জানিয়েছেন, কুড়ি বছর ধরে তিনি রাশিয়ার কূটনীতিক (Russian Diplomat) হিসাবে কাজ করছেন। “রুশ নাগরিক হিসাবে এত লজ্জিত হইনি কোনওদিন। ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়ে আসলে ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) রাশিয়ার মানুষের বিরুদ্ধেই অন্যায় করেছেন, এমনটাই দাবি করেছেন বরিস।
পুতিনকে ‘ক্ষমতালোভী’ বলে আক্রমণ করে বরিস বলেছেন, “যারা এই যুদ্ধ শুরু করেছে, তারা কেবলমাত্র একটাই জিনিস চায়। অনন্তকাল ধরে ক্ষমতায় থাকতে চায় তারা। বড় বড় প্রাসাদে আরাম করে থাকতে চায়। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর উপরে বোঝা বাড়াতে থাকে।” বরিসের মতে, রাশিয়ার পাশে কোনও দেশ নেই। এই যুদ্ধের জন্য দায়ী রাশিয়ার বেপরোয়া বিদেশনীতি।”
দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকে কাজ করেছেন বরিস। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “গত কুড়ি বছরে ক্রমশ অবনতি হয়েছে রুশ বিদেশনীতির।” আক্রমণ শানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের দিকেও। “বিদেশনীতির অবক্ষয়ের জ্বলন্ত উদাহরণ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। এখন বিদেশ দপ্তর কূটনৈতিক ভাবে কাজ করে না। মিথ্যা প্রচার এবং হিংসা ছড়ায় বিদেশ মন্ত্রক।” প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে বেশ কয়েকজন রুশ কূটনীতিক পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু বরিসই প্রথম প্রকাশ্যে রুশ প্রশাসনের নিন্দা করেছেন। তাঁর এই পদক্ষেপকে ‘সাহসিক’ আখ্যা দিয়ে টুইট করেছেন নেদারল্যান্ডসের কূটনৈতিক। রাষ্ট্রসংঘের আরেক প্রতিনিধি হিলেল নয়্যার বলেছেন, “রাশিয়ার অন্যান্য কূটনীতিকদেরও বরিসের মতো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। নিজেদের নীতি বজায় রেখে পদত্যাগ করা দরকার তাঁদের।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.