সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia-Ukraine War) বিশেষ সুবিধা করতে পারছে না রাশিয়া। এতদিন নিন্দুকরা এই অভিযোগ করেছে। এবার সেই পরিস্থিতি কার্যত মেনে নিলেন ইউক্রেনে রুশফৌজের সর্বাধিনায়ক সার্গেই সুরোভিকিন। জানালেন, পরিস্থিতি বেশ জটিল। তাঁর এই স্বীকারোক্তি ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জিতে নেওয়ার দাবি করেছিল রাশিয়া। পালটা ওই এলাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেন। জেলেনস্কির সেনার প্রত্যাঘাতে কার্যত টালমাটাল রুশফৌজ। এই পরিস্থিতি কার্যত মেনে নিলেন ইউক্রেনের রুশফৌজ প্রধান। খেরশোন এলাকায় ইউক্রেনের প্রত্যাঘাতে ২০-৩০ কিলোমিটার পিছিয়ে যেতে হয়েছে রাশিয়ার বাহিনীকে। খেরশোনে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন ইউক্রেনে রুশফৌজের সর্বাধিনায়ক সার্গেই সুরোভিকিন।
সার্গেই সুরোভিকিনের কথায়, “এই এলাকায় রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের পরিস্থিতি জটিল। শত্রুরা নাগরিক পরিকাঠামোয় হামলা চালাচ্ছে।” অর্থাৎ ইউক্রেনের নাগরিকদের সম্পত্তি নষ্টের দায় ইউক্রেনিয় প্রতিরোধ বাহিনীর উপর চাপাতে চাইছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
ইউক্রেনে (Ukraine) রুশ ফৌজের সুপ্রিম কমান্ডার হিসেবে জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনকে নিয়োগ করেছেন পুতিন। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, যে কোনও মূল্যে পূর্ব ইউক্রেন দখল করতে হবে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, জেনারেল সুরোভিকিনের দায়িত্ব নেওয়ার দু’দিনের মধ্যে সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ-সহ একাধিক শহরে আছড়ে পড়ে রুশ সেনার ছোঁড়া প্রায় ৭৫টি মিসাইল।
সমর বিশ্লেষকদের মতে, অত্যন্ত ক্রূর ও নির্মম সেনানায়ক হিসেবে কুখ্যাত সের্গেই সুরোভিকিন। বর্তমানে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর জেনারেল পদে রয়েয়েছেন তিনি। রুশ ফৌজে তিনি ‘জেনারেল আর্মাগেডন’ বা সাক্ষাৎ প্রলয় নামে পরিচিত। অনেকেই তাঁকে ‘সিরিয়ার কসাই’ বলেও ডাকেন। কারণ, ২০১৭ সালে সিরিয়ায় পুতিন বাহিনীর রাশ ছিল সুরোভিকিনের হাতে। আর তাঁর নির্দেশেই আলেপ্পো শহরকে বোম মেরে কার্যত মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল রাশিয়ার বোমারু বিমানগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.