সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ইউরোপে ক্রমে শক্তি বাড়াচ্ছে ন্যাটো সামরিক জোট। ফলে রীতিমতো অশনি সংকেত দেখছে রাশিয়া (Russia)। তাই আমেরিকাকে পালটা দিতে এবার বেশ কয়েকটি নতুন সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে চলেছে মস্কো।
সম্প্রতি রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানিয়েছেন, ন্যাটোর সম্প্রসারণের মোকাবিলায় পশ্চিম রাশিয়ায় বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন,”চলতি বছরের মধ্যেই ওয়েস্টার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টে ১২টি সামরিক ইউনিট ও ডিভিশন তৈরি করা হবে।” তিনি আরও জানান, দ্রুত রুশ সেনাবাহিনী নতুন দু’হাজার ইউনিট অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম পেতে চলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের সেনাবাহিনীর দুর্বলতা দেখতে পেয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাই আমেরিকার নেতৃত্বে ন্যাটো বাহিনীর মোকাবিলায় ফৌজকে আরও সাজিয়ে তুলতেই এই পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রুশ হামলার পরই ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। তাদের জোটে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, “যে কোনও আগ্রাসনের মোকাবিলায় ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের পাশে থাকবে আমেরিকা। আমি দুই দেশের ন্যাটো সদস্যপদের আবেদন সমর্থন জানিয়ে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছি।” শুধু তাই নয়, ইঙ্গিতে রুশ আগ্রাসনের মুখে স্টকহোম ও হেলসিঙ্কিকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে দেন যে, ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া চলাকালীন দুই দেশের উপর হামলা হলে তা প্রতিহত করবে আমেরিকা।
প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী দেশগুলি ন্যাটোয় (NATO) যোগ দিক, সেটা একেবারেই চায় না রাশিয়া। ন্যাটোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ার ফলেই ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। এবার আরেক প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ডও ইউক্রেনের পথ অনুসরণ করলে ফল ভাল হবে না, সেই হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল রাশিয়ার তরফে। ফিনল্যান্ডের সঙ্গে সঙ্গে সুইডেনও ন্যাটোয় যোগ দিতে চলেছে। এই দুই দেশকে নিশানা করে রাশিয়া বার্তা দিয়েছিল, ন্যাটোয় যোগ দিলে এই দেশগুলির সীমান্তে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা হবে। আরও জানানো হয়েছিল, বাল্টিক সাগর অঞ্চলে নিজেদের সেনার শক্তি বৃদ্ধি করবে রাশিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.