সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বুধবার হঠাৎই যেন মনে হয়েছিল ছবিটা বদলাচ্ছে। ইউক্রেন (Ukraine) সীমান্ত থেকে রুশ (Russia) সেনার একাংশের পিছু হটার ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হতেই ধারণা তৈরি হচ্ছিল বোধহয় কিয়েভে হামলা চালাবে না মস্কো। কিন্তু শনিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) বলেন, ”আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে ইউক্রেনে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।” তাঁর সেই আশঙ্কা সত্যি করে পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে শক্তি প্রদর্শন করল পুতিনের দেশ।
রাশিয়া যে এমনটা করতে পারে তা বোঝা গিয়েছিল শুক্রবারই। তখন থেকেই থেকেই পরমাণু যুদ্ধের জন্য মহড়া নিতে দেখা গিয়েছিল রাশিয়াকে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রাশিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, মস্কো যেন সরাসরি জানায় যে ইউক্রেনের উপরে রুশ বাহিনী হামলা চালাবে না। মস্কো সেই কথার জবাব দেয়নি। বরং এবার আরও আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ করেছে পুতিন প্রশাসন। পরিস্থিতি ঘোরাল করে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া সীমান্তে। জানা গিয়েছে, শনিবারের এই সামরিক মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন খোদ পুতিন।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শনিবারই জার্মানি পৌঁছেছেন পাশ্চাত্যের সমর্থন চেয়ে। রাশিয়া সেদেশের পূর্ব প্রান্তে ইতিমধ্যেই গোলাগুলির পরিমাণ বাড়িয়েছে। যার আঘাতে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের একজন সেনার মৃত্যুও হয়েছে। অন্যদিকে দোনবাস অঞ্চলের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি করেছে, দফায় দফায় তাদের ঘাঁটির দিকে বোমাবর্ষণ করছে ইউক্রেনের সেনা। রুশ সরকারও আজ ইউক্রেনে বাহিনীর দিকে লাগাতার বোমাবর্ষণের অভিযোগ তুলেছে। কিয়েভ অবশ্য অভিযোগ স্বীকার করেনি।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন-রাশিয়া টানাপোড়েনে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। শেষ পর্যন্ত সত্যিই যুদ্ধ হবে কিনা তা এখনই পুরোপুরি পরিষ্কার না হলেও, ইউক্রেনের (Ukraine) দাবি, ‘হাইব্রিড ওয়ার’ ইতিমধ্য়েই শুরু করে দিয়েছেন পুতিনের দেশ। যার ধাক্কায় সেদেশের বহু এটিএম বিকল হয়ে গিয়েছে। ব্যাহত অনলাইন পরিষেবাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.