সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় বছরে পা রাখতে চলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। জারি রয়েছে মৃত্যুমিছিল। রুশবাহিনীর প্রতিটা মারের কড়া জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। এবার নাকি বড়সড় বিপাকে পড়েছে মস্কো। কমছে সেনার সংখ্যা। ঘাটতি দেখা দিয়েছে গোলাবারুদ-সহ বিভিন্ন সামরিক অস্ত্রের। প্রকাশ্যে এসেছে এমনই তথ্য।
বিবিসি সূত্রে খবর, পশ্চিমি দুনিয়ার বেশ কয়েকজন আধিকারিক দাবি করেছেন, রণক্ষেত্রে অস্ত্রের জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাশিয়া। তাঁদের বক্তব্য, ” বর্তমানে রাশিয়ার দেশীয় গোলাবারুদ উৎপাদন ধাক্কা খাচ্ছে। অপর্যাপ্ত উৎপাদনের কারণে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের জন্য বিকল্প উৎস খোঁজা হচ্ছে। যা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ নয়।” এর পিছনে কারণ হিসাবে রুশ প্রশাসনের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলোকেও উল্লেখ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, “নিষেধাজ্ঞাগুলোর কারণে রাশিয়ার সামরিক শিল্প ব্যাপকভাবে মার খাচ্ছে। অস্ত্র উৎপাদনের খরচ বাড়ছে। পুরনো সিস্টেম পালটে নতুন সংযোজন করা যাচ্ছে না। ফলে মান পড়তে শুরু করেছে যুদ্ধাস্ত্রের।” গত মাসেই রাশিয়ার মিসাইল কারখানা পরিদর্শনে যান রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। মনে করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার অস্ত্র চুক্তির অন্যতম কারণ হচ্ছে এই যুদ্ধাস্ত্র উৎপাদনের ঘাটতি।
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে রুশ সফরে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন (Kim Jong Un)। বৈঠক করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে। যুদ্ধের ময়দানে মস্কোকে নিঃশর্তভাবে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন কিম। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি হয়েছে। এর পর প্রায় হাজারের উপর সামরিক অস্ত্র বোঝাই কন্টেনার পিয়ংইয়ং থেকে মস্কোতে গিয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিল আমেরিকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রী শোই সন হুই। ফলে কিমের দেশের থেকে অস্ত্র নেওয়ার বিষয়টি আরও জোরাল হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, দুবছর পূর্ণ হবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের (Ukraine) রক্তক্ষয়ী সংঘাতের। জারি রয়েছে মৃত্যু মিছিল। এখনও এই যুদ্ধের কোনও রফাসূত্র পাওয়া যায়নি। যুদ্ধের ময়দানে একে ওপরকে একচুল জমি ছাড়তে নারাজ দুদেশই। চলতি বছরে জানুয়ারির শুরুতেই রাশিয়ায় ‘নিষিদ্ধ’ক্লাস্টার বোমা ফেলেছিল ইউক্রেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.