সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাটোয় যোগ দিতে চলেছে ফিনল্যান্ড। রবিবারই ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট যৌথভাবে এই ঘোষণা করেছিলেন। আর তারপরই জানা গিয়েছে, ফিনল্যান্ড (Finland) সীমান্তে মিসাইল পাঠাচ্ছে রাশিয়া। ইস্কান্দার মিসাইল নামক এই আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রগুলি পারমাণবিক (Nuclear Weapons) আঘাত হানতে পারে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। সীমান্তবর্তী শহর ভাইবর্গে দেখা গিয়েছে রুশ (Russia) মিসাইল। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে হামলা চালানোর সময়েও সীমান্তে এই মিসাইল মোতায়েন করা হয়েছিল।
প্রতিবেশী দেশগুলি ন্যাটোয় (NATO) যোগ দিক, সেটা একেবারেই চায় না রাশিয়া। ন্যাটোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ার ফলেই ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। আরেক প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ডও ইউক্রেনের পথ অনুসরণ করলে ফল ভাল হবে না, সেই হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল রাশিয়ার তরফে। ফিনল্যান্ডের সঙ্গে সঙ্গে সুইডেনও ন্যাটোয় যোগ দিতে চলেছে। এই দুই দেশকে নিশানা করে রাশিয়া বার্তা দিয়েছিল, ন্যাটোয় যোগ দিলে এই দেশগুলির সীমান্তে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা হবে। আরও জানানো হয়েছিল, বাল্টিক সাগর অঞ্চলে নিজেদের সেনার শক্তি বৃদ্ধি করবে রাশিয়া। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবারই ন্যাটোয় যোগ দিতে আবেদনপত্র জমা দেবে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন (Sweden)।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ১৯৩৯ সালের নভেম্বরে জার্মানির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফিনল্যান্ডে হামলা চালিয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (আজকের রাশিয়া)। কিন্তু সামরিক ক্ষমতায় অনেক এগিয়ে থেকেও প্রায় সাড়ে তিন মাসের যুদ্ধে স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের ছোট্ট দেশটিকে পুরোপুরি দখল করতে পারেনি জোসেফ স্তালিনের সেনা। মস্কো চুক্তিতে কোনওমতে মুখ বাঁচিয়ে সেই যাত্রায় হামলায় ইতি টেনেছিল ‘রেড আর্মি’।
প্রায় তিনমাস ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে সেই অর্থে সুবিধা করতে পারেনি রাশিয়া। বহু ক্ষতি স্বীকার করলেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কিয়েভের সেনা। তবে আজভ সাগরের তীরে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর মারিওপোলে ইউক্রেন সেনারা আত্মসমর্পণ করেছেন রুশ সেনার কাছে। যুদ্ধে প্রায় ধুঁকতে থাকা রাশিয়াকে অক্সিজেন জোগাবে মারিওপোলের এই ঘটনা, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.