Advertisement
Advertisement

Breaking News

Russia

রাশিয়ার জলসীমা লঙ্ঘন ব্রিটিশ রণতরীর, পালটা গোলা ছুঁড়ে জবাব রুশ যুদ্ধবিমানের

চরম উত্তেজনা কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে।

Russia Says Fired ‘Warning’ Shots at British Warship Near Crimea | Sangbad Pratidin
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:June 23, 2021 7:02 pm
  • Updated:June 23, 2021 9:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে ছড়াল তীব্র উত্তেজনা। সম্মুখসমরে রাশিয়া (Russia) এবং গ্রেট ব্রিটেন (Great Britain)। রাশিয়ান যুদ্ধবিমান এবং রণতরী থেকে ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজকে উদ্দেশ্য করে ছোড়া হল গোলা। তবে যুদ্ধের জন্য নয়, জলসীমা লঙ্ঘন করায় সতর্ক করার জন্যই বুধবার ওই গোলা ছোঁড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে।

TASS-সহ রাশিয়ার একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে বিতর্কিত ক্রিমিয়া দ্বীপের কাছাকাছি রুশ জলসীমা লঙ্ঘন করে ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ HMS Defender। এরপরই নিয়মমাফিক সেই ব্রিটিশ রণতরীটিকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে গোলা ছোঁড়ে সীমান্তে টহলদারি রুশ যুদ্ধজাহাজ। পরবর্তীতে রুশ এয়ারক্রাফ্ট কেরিয়ারের যুদ্ধবিমান সুখোই-৪৪ থেকে চারটি গোলা ছোঁড়া হয়। যদিও রাশিয়াকে পালটা জবাব দেয়নি ব্রিটিশ রণতরী। শুধু তাই নয়, এরপরই নিজের পথও বদলে ফেলে HMS Defender। পাশাপাশি ব্রিটিশ সেনাবাহিনী জানিয়ে দেয়, এই ঘটনার ক্ষেত্রে কোনওরকম আন্তর্জাতিক নিয়মই ভাঙা হয়নি। তাঁরা আন্তর্জাতিক জলসীমানার সমস্ত নিয়ম মেনেই ইউক্রেনের পাশ থেকে যাতায়াত করেছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের বাড়ির বাইরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত ২]

যদিও ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ায় তীব্র হইচই শুরু হয়েছে। এমনকী রুশ প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ নৌসেনাকেও জানিয়েছে বলে খবর। সেদেশের একাধিক সেনেটরও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে। অনেকেই এই ঘটনাকে রাশিয়ার সার্বভৌমত্বে আঘাত হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে। আর এই ঘটনা ঘিরেই মূলত কৃষ্ণসাগর এলাকায় ছড়িয়েছে তুমুল উত্তেজনা। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দ্বীপটি নিয়ে বহুদিন ধরেই রাশিয়া এবং বিশ্বের অন্য দেশগুলির মধ্যে বিবাদ চরমে। এর আগে বহুবার যুদ্ধের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। ২০১৪ সাল থেকে ক্রিমিয়াকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে এসেছে রুশরা। অন্যদিকে, দ্বীপটি যে ইউক্রেনের অংশ, এমনটাই মনে করে ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। এই নিয়েই মস্কোর সঙ্গে বিবাদ ব্রিটেন-আমেরিকার মতো দেশগুলির। এখন এই ঘটনা ফের একবার বিতর্কের আগুন উসকে দেয় কি না, সেটাই দেখার।

[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর বিবাদ মিটলেই আণবিক অস্ত্রের প্রয়োজন থাকবে না’, মন্তব্য ইমরানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement