Advertisement
Advertisement
Russia

বেগড়বাই করলেই ধর্ষণ! রাশিয়ার জেলের নারকীয় ভিডিও ঘিরে চাপে ক্রেমলিন

ফাঁস রাশিয়ার জেলে যৌন নির্যাতনের ভিডিও।

Russia puts man who leaked prison torture videos on wanted list

ছবি : প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 25, 2021 8:52 am
  • Updated:October 25, 2021 8:52 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ওরা আমার মুখে যৌনাঙ্গ ঢুকিয়ে দেয়। তারপর…”। না, কোনও হলিউড মারকাটারি যৌনতা সর্বস্ব সিনেমা নয়, এই দৃশ্য রাশিয়ার এক কারাগারের। আর রুশ সংবাদমাধ্যম ‘Novaya Gazeta’-র কাছে ‘শাস্তি’ হিসেবে বারবার ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন এক বন্দি। তারপর থেকেই চাপ বাড়ছে ক্রেমলিনের উপর।

[আরও পড়ুন: ‘ইমরান দিল্লিতে জনসভা করলে মোদির থেকেও বেশি ভিড় হবে’, আজব দাবি পাকিস্তানের মন্ত্রীর]

সম্প্রতি রাশিয়ার (Russia) জেলগুলিতে কীভাবে বন্দিদের উপরে অত্যাচার ও যৌন নির্যাতন চালানো হয়, তার ভিডিও সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। ধর্ষণ ও অত্যাচারের ভিডিওগুলি রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ‘Novaya Gazeta’-এর পর রুশ মানবাধিকার সংগঠন ‘Gulagu.net’-এর কাছেও সের্গেই সাভেলিয়েভ নামের প্রাক্তন এক বন্দি ভিডিওটি ফাঁস করেন। তারপর থেকেই তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিশ্বজুড়ে। মস্কোর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি। ফলে রীতিমতো চাপ বাড়ছে ক্রেমলনের উপর। এমনিতেই বিরোধীদের উপর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণে অত্যাচার থেকে শুরু করে চেচেন বন্দিদের মানবাধিকার নিয়ে কাঠগড়ায় রয়েছে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসন।

Advertisement

জানা গিয়েছে, রাশিয়ার জেলগুলিতে যৌন অত্যাচার জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলের রক্ষী থেকে শুরু করে বন্দিদের একাংশ এহেন কাণ্ডে জড়িত। কোনও প্রতিবাদ করলে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। সেই ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে এনেছেন প্রাক্তন বন্দি সের্গেই সাভেলিয়েভ। মাদক পাচারের অভিযোগে প্রায় আট বছরের জেল হয়েছিল সের্গেইর। তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা ছিল। তাই কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে জেলের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়টি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই সূত্রে জেলের কম্পিউটারে থাকা বহু ভিডিও সের্গেইয়ের হাতে আসে। তার মধ্যে সারাটোভ জেলের কয়েকটি ধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচারের ভিডিও তিনি হস্তগত করেছিলেন।

এদিকে, প্রথমদিকে চুপ থাকলেও জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার সময় ওই ভিডিওগুলি সঙ্গে নিয়ে যান সের্গেই। তার পরে সেগুলি তিনি দিয়ে দেন মানবাধিকার সংগঠন Gulagu.net’-কে। তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয় কয়েকটি ভিডিও। এর পরেই নড়েচড়ে বসে রুশ প্রশাসন। সের্গেইকে ডেকে পাঠায় রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। কিন্তু তিনি হাজির হননি। পরে তাঁর নাম ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় তুলে দেওয়া হয়েছে। এবার সের্গেইর দাবি, তাঁকে নিশানা করছে প্রশাসন। তাই বাঁচতে ফ্রান্সে আশ্রয়ের আরজি জানিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে পাকিস্তান, FATF-এর ধূসর তালিকায় ইসলামাবাদের ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement