সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল রাশিয়া। বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে সমঝোতার নেপথ্যে রয়েছে মস্কোর হাত।
বৃহস্পতিবার ভারত ও চিনের মধ্যে হওয়া সীমান্ত সমঝোতা নিয়ে বিবৃতি দেন রুশ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। তিনি বলেন, “ভারত-চিন সীমান্তে চলা গতিবিধির উপর আমরা নজর রাখছি। দুই দেশই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর দ্বায়িত্বশীল সদস্য। তারা নিশ্চয়ই আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করবে। ফেব্রুয়ারির ২৫ তারিখ দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে হওয়া চুক্তিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।” বিশ্লেষকদের মতে, ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘাত এড়াতে বদ্ধপরিকর রাশিয়া। পর্দার আড়ালে দুই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে পুতিন প্রশাসনের। বেজিং ও নয়াদিল্লি উভয়ের উপরই যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে মস্কোর। ক্রেমলিনের আশঙ্কা, পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘাতের ফলে আমেরিকার আরও কাছে চলে গিয়েছে ভারত। তাই নয়াদিল্লির উপর মার্কিন প্রভাব খর্ব করতে মধ্যস্থতায় নেমেছে রাশিয়া।
উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখে সেনা প্রত্যাহার চলাকালীন রাশিয়ার (Russia) বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। আন্তর্জাতিক মঞ্চ যেমন–রাষ্ট্রসংঘ, জি-20, ব্রিকস, এসসিও, আরআইসি ও ইএইইউ-তে একসঙ্গে কাজ করার উদ্দেশ্যে সমন্বয় রক্ষায় জোর দিয়েছে দুই দেশ। এছাড়া, কৌশলগত বিষয়ে পরস্পরের সহযোগীতা করা নিয়েও আলোচনা হয় দুই দেশের মধ্যে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গড়পরতা কূটনীতির আড়ালে ভারতের বিদেশ সচিবের মস্কো সফর অত্যন্ত ‘গুরুত্বপূর্ণ’। কারণ, প্রায় ১০ মাস ধরে চিন ও ভারতের সেনা মুখোমুখি থাকার পর লাদাখ সীমান্তে শান্তি ফেরার নেপথ্যে রাশিয়ার হাত রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। সদ্য পূর্ব লাদাখে সংঘর্ষের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু প্যাংগং হ্রদ থেকে সেনা সরাতে রাজি হয় ভারত ও চিন। ইতিমধ্যে ট্যাংক, কামান-সহ জওয়ানদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.