সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোনবাস নাকি মুক্তির অপেক্ষায়! কিয়েভের আশকারায় নব্য নাৎসিদের উৎপাতে বিপন্ন অঞ্চলটির রুশভাষী জনতা। ইউক্রেনে (Ukraine) যুদ্ধ শুরুর পক্ষে এমনটাই যুক্তি পেশ করেছে রাশিয়া। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। রুশ ফৌজের নির্বিচার গোলবর্ষণে ছারখার হয়ে গিয়েছে দোনবাস অঞ্চল বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বৃহস্পতিবার নিজের গোপন ডেরা থেকে একটি ভিডিও বার্তা দেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তাঁর অভিযোগ, দোনবাস অঞ্চলের পূর্বপ্রান্ত রুশ সেনার হাতে ছারখার হয়ে গিয়েছে। নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করেছে তারা। কমেডিয়ান থেকে দেশনায়ক হয়ে ওঠা জেলেনস্কি বলেন, “দোনবাসে হানাদাররা প্রবল চাপ তৈরি করছে। অঞ্চলটিকে নরকে পরিণত করেছে তারা। নিরীহ ইউক্রেনীয়দের হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘরবাড়ি, পরিকাঠামো ধ্বংস করছে হানাদাররা।” তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার লুহানস্কের সেভেরডোনেৎস্ক শহরে ভয়াবহ বোমাবর্ষণ করে রাশিয়ার সেনা। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১২ জনের। ওডেসা ও মধ্য ইউক্রেনের শহরগুলিতে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে রুশ ফৌজ।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। কিন্তু এখনও কিয়েভ দখল করতে পারেনি তারা। লড়াইয়ে কয়েক হাজার সেনা ও বিপুল অস্ত্র খুইয়ে গত এপ্রিলে সামরিক অভিযানের প্রথম পর্বে ইতি টানার কথা ঘোষণা করে রাশিয়া। পাশাপাশি, মারিওপল ও দোনবাস অঞ্চলে অভিযান তীব্র করে তোলে পুতিনের বাহিনী। এখনও দোনবাসের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে ইউক্রেনীয় ফৌজের।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে জানা যায় যে ইউক্রেন যদি মস্কোর বেঁধে দেওয়া শর্তাবলি মেনে নেয় তাহলে সেদেশে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বন্ধ করবে রাশিয়া। সূত্রের খবর, যুদ্ধ বন্ধ করার প্রধান শর্ত হচ্ছে ইউক্রেন যেন কোনওভাবেই ন্যাটো গোষ্ঠীতে যোগ না দেয়। তাছাড়া, অধিকৃত ক্রাইমিয়া অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে মেনে নিতে হবে কিয়েভকে। পাশাপাশি, রুশপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দোনবাসের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করতে হবে জেলেনস্কি সরকারকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.