সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফিরল আণবিক রুশ সাবমেরিন ‘কুরস্ক’ দুর্ঘটনার স্মৃতি। সোমবার গবেষণার কাজে ব্যবহৃত একটি রুশ সাবমেরিনে আগুন লেগে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ১৪ জন নাবিকের।
[আরও পড়ুন: দাউদ-আইএসআই ঘনিষ্ঠতা ফাঁসের ভয়, মতিওয়ালার প্রত্যর্পণ ঠেকাতে মরিয়া পাকিস্তান]
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, রুশ জলসীমার বাইরে গবেষণা চালাচ্ছিল একটি পারমাণবিক এএস-১২ মিনি সাবমেরিন। অজ্ঞাত কারণে সেটিতে আগুন ধরে যায়। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৮ জন নাবিকের। এদিকে দুর্ঘটনার খবর স্বীকার করলেও, সাবমেরিনটি ঠিক কী কাজ করছিল এবং তাতে মোট কতজন নাবিক ছিলেন? এ নিয়ে বিস্তারিত কোন তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, আগুন নেভানোর পর সাবমেরিনটিকে সেভেরোমর্স্কে উত্তরাঞ্চলীয় মূল সামরিক ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে, এই দুর্ঘটনাকে রুশ নৌবাহিনীর জন্য বিরাট ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
দুর্ঘটনার পর অন্য কর্মসূচি বাতিল করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই সোইগুর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন পুতিন। তারপরই সেভেরোমর্স্কের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার মুখে পড়া সাবমেরিনটি ছিল একটি এএস-১২ পারমাণবিক মিনি সাবমেরিন। সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়ছেন, এ ধরণের সাবমেরিন গভীর সমুদ্রে গবেষণা, গুপ্তচরবৃত্তি এবং বিশেষ অভিযানের কাজে ব্যবহার করা হয়। এই বিশেষ সাবমেরিন দিয়ে সমুদ্রের নিচে কেবল ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করা সম্ভব। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছিল যে এই ধরনের মিনি সাবমেরিন দিয়ে রাশিয়া গুপ্তচরবৃত্তি করছে ও মার্কিন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। যদিও রাশিয়া বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে রুশ পারমাণবিক সাবমেরিন কুরস্ক। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১১৮ জন নাবিকের। সেভেরোমর্স্কের ঘটনায় ফের সেই স্মৃতি ফিরে এল৷
[আরও পড়ুন: সিআইএ এজেন্ট ছিলেন স্বৈরাচারী কিমের ভাই নাম, ফাঁস বিস্ফোরক তথ্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.