সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্যশস্যের অভাব। কারণ, বিশ্বের বহু দেশে শস্য রপ্তানি করে কিয়েভ। এক রিপোর্টে মোতাবেক, ইউক্রেনে রুশ হামলার জেরে খাদ্য, জ্বালানি বা আর্থিক, কোনও না কোনও সংকটের মুখে পড়তে হয়েছে ১৬০ কোটি মানুষকে। এই প্রেক্ষাপটে কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনীয় বন্দরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ধ্বংস হয়েছে ৬০ হাজার টন খাদ্যশস্য এবং গুদাম।
গত বছর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিশ্বজুড়ে দেখা দেয় খাদ্যশস্যের অভাব। কারণ, বিশ্বের বহু দেশে শস্য রপ্তানি করে কিয়েভ। অবশেষে রাষ্ট্রসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় ২৪ জুলাই, ২০২২ সালে কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দরগুলি দিয়ে শস্য রপ্তানিতে মঞ্জুরি দেয় রাশিয়া। কিন্তু সোমবার সেই ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে সরে আসে মস্কো। আর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী ওডেসা এবং মাইকোলাইভে হামলা চালায় রুশ ফৌজ। এরপরও বুধবার পর্যন্ত রাতভর ওডেসা এবং করনোমোর্স্কে কৃষ্ণসাগর উপকূলের বন্দর ও শস্য টার্মিনালগুলিকে নিশানা করে ক্ষেপণান্ত্র হামলা চালায় পুতিন বাহিনী। ওডেসার সামরিক মুখপাত্র শেরহি ব্রাতচুক বলেছেন, “সত্যিই ভয়াবহ হামলা হয়েছে। ৬০,০০০ টন শস্য ধবংস হয়েছে, যেগুলি একটি বড় জাহাজে তুলে নিরাপদ করিডর দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।”
এদিকে, ইউক্রেনের (Ukraine) বন্দরে রাশিয়ার এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে জার্মানি ও ফ্রান্স। জার্মান বিদেশমন্ত্রী আন্নালেনা বারবোক বলেন, “ওডেসায় বোমা ফেলে বিশ্বে শস্য জোগানে আগাত হানছেন পুতিন। তিনি গরিবদের পেটে লাথি মারছেন।”
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রপ্তানিকারী দেশ ইউক্রেন থেকে পণ্যের যোগান বন্ধ হয়ে গেলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে বিশ্ববাজারে। শস্যের দাম লাফিয়ে কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সারা বিশ্বে দেখা দিতে পারে খাদ্য সংকট। অন্যদিকে, ইউক্রেনের গুদামগুলিতে টন টন শস্য পড়ে নষ্ট হবে। এদিকে, বৃহস্পতিবার রাশিয়া সাফ জানিয়েছে, কৃষ্ণসাগরের ইউক্রেনীয় বন্দরে আসা জাহাজগুলিকে অস্ত্রবাহী বলে গণ্য করা হবে এবং সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে ফের খাদ্য সংকটের মুখে পড়তে পারে দুনিয়া বলে আশঙ্কা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.