Advertisement
Advertisement

Breaking News

Russia

ঝাঁকে ঝাঁকে রুশ ড্রোনের হামলা ইউক্রেনের বন্দরে, দুনিয়াজুড়ে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা

কিয়েভকে 'ভাতে মারার' চেষ্টা মস্কোর!

Russia attacks Ukraine’s biggest grain exporting ports | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 4, 2023 1:50 pm
  • Updated:September 4, 2023 1:50 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ফের তীব্র হয়ে উঠছে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা। সোমবার ইউক্রেনের অন্যতম বৃহত্তম বন্দরে ভয়াবহ হামলা চালায় রুশ ফৌজ। এর ফলে শস্য রপ্তানি ভীষণভাবে প্রভাবিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার সকালে ওদেসায় ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। দানিউব নদীর ইজমাইল বন্দরকে নিশানা করে রুশ সেনা। স্থানীয় প্রশাসনের কথায়, এদিন ভোরে পঙ্গপালের মতো ঝাঁকে ঝাঁকে নেমে আসে রাশিয়ার ড্রোন। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পালটা মার দিলেও বন্দরটি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওদেসার গভর্নর ওলেহ কাইপার জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় সেনার পালটা মারে ১৭টি রুশ ড্রোন ধ্বংস হয়েছে। টেলিগ্রামে তিনি লেখেন, ‘দুর্ভাগ্যের কথা ইজমাইল বন্দরের পরিকাঠামো অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে প্রাথমিক পরিদর্শনে কারও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়নি।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোরীয় উপত্যকায় পরমাণু যুদ্ধের মেঘ! পারমাণবিক মহড়ার কথা স্বীকার কিমের দেশের]

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ইউক্রেনের অন্যতম বৃহত্তম বন্দর হচ্ছে ইজমাইল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখান থেকে শস্য রপ্তানি করা হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তা রাশিয়ার নিশানা। বলে রাখা ভাল, ইউরোপের খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত ইউক্রেন (Ukraine)। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বহু দেশে খাদ্যশস্য রপ্তানি করে কিয়েভ। ফলে দুনিয়াজুড়ে খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে। এই প্রেক্ষাপটেই আজ কৃষ্ণসাগরের তীরে সোচিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগানের সঙ্গে দেখা করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।  

সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ হামলার জেরে খাদ্য, জ্বালানি বা আর্থিক কোনও না কোনও সংকটের মুখে পড়েছে ৯৪টি দেশের ১৬০ কোটি মানুষ। সবমিলিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে ধাক্কা খেয়েছে গোটা বিশ্ব। কারণ, ইউক্রেনের বন্দরগুলিতে রুশ অবরোধের জেরে থমকে ছিল শস্য রপ্তানি। সেই সমস্যার সমাধান করে গত বছরের জুলাই মাসে রাষ্ট্রসংঘ ও তুরস্কের পৌরহিত্যে চুক্তি স্বাক্ষর করে মস্কো ও কিয়েভ। ফলে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলি থেকে খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে সবুজ সংকেত দেয় মস্কো। তবে মাস দেড়েক আগে সেই চুক্তি থেকে একতরফা ভাবে বেরিয়ে আসে মস্কো।

[আরও পড়ুন: নোবেল পুরস্কারের আদর্শের বিরোধী, অনুষ্ঠান থেকে বাদ রাশিয়া, বেলারুশ, ইরান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement