সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেলারুশকে কেন্দ্র করে সংঘাতের পথে ন্যাটো ও রাশিয়া। যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে মস্কো সাফ জানিয়েছে, বেলারুশে যদি ন্যাটো হামলা চালায় তা হলে তাদের রুখে দিতে তৎক্ষণাৎ পালটা হামলা চালাবে রুশ বাহিনী।
কেন বেলারুশকে কেন্দ্র করে এই লড়াই?
ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসেই। আগস্টের ৯ তারিখ বেলারুশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফল এলে দেখা যায় প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে মসনদ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নেমে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে প্রতিবাদ শুরু করেন হাজার হাজার মানুষ। বিরোধী দলের সমর্থকদের ঢল নামে রাজধানী মিন্স্ককের রাস্তায়। এই নির্বাচনের ফল মানা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর উপর পুনর্নিবাচনের জন্য চাপ বাড়াতে শুরু করে ন্যাটো (NATO) গোষ্ঠী। বিপদ বুঝে শনিবার ‘বন্ধু’ তথা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানান লুকাশেঙ্কো। বেলারুশের সীমানা থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্বে ট্যাংক ও সেনা মোতায়েন করেছে ন্যাটো বলেও অভিযোগ জানান তিনি। শুধু তাই নয়, পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটোর সামরিক মহড়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তারপরই লুকাশেঙ্কোকে আশ্বস্ত করে রুশ প্রেসিডেন্ট সাফ জানান, বেলারুশে কেউ হামলা চালালে তা প্রতিহত করতে ফৌজ পাঠাবে রাশিয়া।
এদিকে, বেলারুশ (Belarus) সীমান্তে ফৌজ মোতায়েনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ন্যাটো। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ২০১৪ সাল থেকেই আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা ও জার্মানির নেতৃত্বে বাল্টিক দেশগুলিতে চারটি বাহিনী বা ব্যাটল গ্রুপ মোতায়েন করেছে ন্যাটো। কারণ ওই বছরই ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া প্রদেশ ছিনিয়ে নেয় রাশিয়া। ফলে রীতিমতো যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। মস্কোর আগ্রাসী মনোভাবের কথা মাথায় রেখেই তাই ফৌজ মোতায়েন করেছিল ন্যাটো। যদিও রাশিয়ার হুমকির পর বেলারুশে হামলা চালিয়ে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি জটিল করবে না ন্যাটো বলেই মনে করছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.