সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বে। ভারত-সহ একাধিক দেশ চায় শান্তি ফিরুক। এই মর্মে ইউক্রেন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এহেন উদ্যোগ নেওয়ায় এবার ভারতকে সাধুবাদ জানাল রাশিয়া। কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে ভারত যেভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে তা প্রশংসনীয়। মত মস্কোর।
গত মঙ্গলবার মস্কোয় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, “আমরা চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, ভারত-সহ গ্লোবাল সাউথের অন্যান্য দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা ন্যয় সঙ্গত ও বাস্তব নির্ভর হয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও দেশের প্রশাসন বারে বারে এই বিষয়ে আলোচনা করেছে।”
উল্লেখ্য, এই নিরাপত্তা বৈঠকে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের বার্তায় উঠে এসেছে ভারতের প্রসঙ্গ। নয়াদিল্লির সঙ্গে আমেরিকা ও রাশিয়া দু’দেশেরই যে গভীর সম্পর্ক তা কারও অজানা নয়। ইউক্রেন যুদ্ধে শুরু থেকেই ক্রেমলিনকে কোণঠাসা করতে মরিয়া হোয়াইট হাউস। কিন্তু ভারত প্রথম থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেনকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের বার্তা দিয়ে এসেছে। আমেরিকার চাপ থাকলেও ভারত কখনও রাষ্ট্রসংঘে কিংবা কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়ার বিরোধিতা করেনি। ভারতের এই অবস্থানকেই সাধুবাদ জানিয়েছে পুতিন প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, বছর দেড়েক পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের। আক্রমণ-পালটা আক্রমণে ক্রমশ চড়ছে যুদ্ধের পারদ। এখনও এই যুদ্ধের কোনও রফাসূত্র পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে অনেক দেশই পুতিন ও জেলেনেস্কিকে যুদ্ধ থামানোর বার্তা দিয়েছে। যার মধ্যে ভারতও রয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শান্তির বার্তা দিলেও কোনওদিনই মোদি সরাসরি যুদ্ধ নিয়ে পুতিনকে আক্রমণ করেননি। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার যে সম্পর্ক রয়েছে তার জন্যই নয়াদিল্লি কখনও মস্কোর বিরোধিতা করেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.