সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের ওয়ানড়ে ভূমিধসে জারি মৃত্যুমিছিল। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৬। নিখোঁজ ২০০-র বেশি। প্রতিকূলতা কাটিয়ে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে শোকবিহ্বল বিশ্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শোকবার্তা আমেরিকা ও রাশিয়ার।
ওয়ানড়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে উদ্ধারকার্যে নেমেছে নৌসেনা ও বায়ুসেনা। প্রতিকূল আবহাওয়াতেই চলছে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষদের বের করে আনার কাজ। এই কঠিন সময় ভারতকে সমবেদনা জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে মালদ্বীপ। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শোকবার্তা পাঠিয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়াও। ওয়ানড়ের ভূমিধসে শোকজ্ঞাপন করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বার্তায় লিখেছেন, ‘কেরলের ওয়ানড়ে ভয়াবহ ভূমিধসে রাশিয়া মর্মাহত। এই কঠিন সময়ে আমরা ভারতের পাশে রয়েছি। এই দুর্যোগে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা রয়েছে। প্রার্থনা করি, আহতরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। উদ্ধারকাজ যেন নিরাপদে সম্পন্ন হয়।’ তাঁর এই শোকবার্তা এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে ভারতে অবস্থিত রুশ দূতাবাস।
✉️ President of #Russia Vladimir Putin sent a condolence message to President of #India Droupadi Murmu & Prime Minister of India Narendra Modi over the tragic consequences of the landslides in #Kerala:
✍🏻 Kindly accept the most sincere condolences over the tragic consequences of… pic.twitter.com/biYO6JimLB
— Russia in India 🇷🇺 (@RusEmbIndia) July 31, 2024
ভারতের এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ‘বন্ধু’ আমেরিকাও। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘কেরলের ওয়ানড়ে ভয়াবহ ভূমিধস হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে। যাঁরা নিখোঁজ রয়েছেন তাঁদের যেন দ্রুত উদ্ধার করা হয়।’ ওয়ানড়ের বিপর্যয়ে শোকজ্ঞাপন করেছে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস। এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘আমরা কেরলের মানুষদের পাশে রয়েছি। এই ঘটনায় আমরা শোকস্তব্ধ।’
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ওয়ানড় থেকে অন্তত দেড়শো জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও প্রায় দুই শতাধিক মানুষ নিখোঁজ। স্থানীয়দের মতে, নিখোঁজদের জীবিত থাকার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। ওয়ানড়ের জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের কারণে হাজার হাজার টন পাথর এবং মাটির যে স্তূপ তৈরি হয়েছে, তা খুঁড়ে উদ্ধারের কাজ চালানো খুব কঠিন। ওয়ানড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর প্রায় নিশ্চিহ্ন। স্থানীয় চার্চ, স্কুল-কলেজের যা অবশিষ্ট আছে, সবকিছুকেই ব্যবহার করা হচ্ছে দুর্গতদের আশ্রয়স্থল এবং চিকিৎসার জন্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.