সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রায় ১৫ দিনের ও বেশি সময় ধরে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষে রক্তাক্ত মায়ানমার৷ এবার সেই সংঘাতে সাময়িক ইতি টেনে ১ মাসের একতরফা সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা৷
এক বিবৃতিতে বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, রবিবার থেকে কার্যকরী করা হয়েছে সংঘর্ষবিরতি৷ এদিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়াবে না তারা৷ বিদ্রোহীরা জানায়, দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে রাখাইন প্রদেশে সৃষ্টি হয়েছে প্রবল সংকটের৷ বিধ্বস্ত হয়েছে জনজীবন৷ তাই ত্রাণ বিতরণকারী সংস্থাগুলিকে কাজ করার সুযোগ দিতেই এই সিদ্ধান্ত৷ উল্লেখ্য, ইসলামিক রাষ্ট্রের দাবিতে বহুদিন ধরেই রাখাইন প্রদেশে জঙ্গি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা৷ আগস্ট মাসের ২৫ তারিখ বেশ কয়েকটি সেনা ও পুলিশ চৌকিতে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা৷ তারপরই ব্যাপক অভিযান শুরু করে মায়ানমার সেনা৷ ওই অভিযানে নিকেশ করা হয় কয়েকশো বিদ্রোহীকে৷ ওই সংঘর্ষের ফল ভোগ করতে হয়েছে নিরীহ মানুষকে৷ লক্ষ-লক্ষ শরণার্থীর ঢল নামে বাংলাদেশে৷
[সাঁইথিয়ায় বর্বরতা, গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে কাচের বোতল]
জানা গিয়েছে, মায়ানমার সেনার কাছেও সংঘর্ষবিরতির আরজি জানিয়েছে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা৷ রাখাইন প্রদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণকার্য চালাতে মদত দিক সেনাও, এমনটাই আরজি জানায় বিদ্রোহীরা৷ তবে বিষয়টি নিয়ে মায়ানমার সেনার পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ প্রতিরক্ষা মহলের একাংশের দাবি, দীর্ঘ লড়াইয়ের ফলে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে বিদ্রোহীরা৷ টান পড়েছে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের ভাণ্ডারেও৷ এছাড়া সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে মারা পড়েছে অনেক বিদ্রোহী৷ তাই শক্তি সংগ্রহ করতেই ত্রাণের নামে এই চাল বিদ্রোহীদের৷ তবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভিযান চালিয়ে যাবে সেনা বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল৷
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ৷ এই বিষয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে শীর্ষস্তরে আলোচনাও হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ তারপরই রাখাইন প্রদেশে চলা সংঘর্ষ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ যাই হোক না কেন, বিদ্রোহীদের এই পদক্ষেপে সাময়িকভাবে হলেও কিছুটা শান্তি ফিরবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
[আড়াই হাজারের বাছুর এখন ৭৫ লাখ, আবদুলের বাড়িতে মেলা লোক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.