সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে শুধু মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার চালাইনি দেশের সেনা এবং বৌদ্ধরা। সেই সঙ্গে অত্যাচারের আগুন এসে পড়েছে মায়ানমারের হিন্দুদের গ্রামগুলিতেও। নতুন রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গণহত্যা থেকে গণধর্ষণ, পুড়িয়ে, খুঁচিয়ে, নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের উপর এভাবে লাগামছাড়া অত্যাচার চালানোর জন্য মায়ানমারের সেনাবাহিনীর দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে আগেই।
এ জন্য মায়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবিও উঠেছে একাধিক বার। রাষ্ট্রসংঘের শীর্ষ মানবাধিকার কর্তা জেইদ রাদ আল হুসেইন স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যায় মায়ানমার সেনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হতে পারে। তাঁর অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের ফেরানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে মায়ানমারের চুক্তি হলেও প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালাচ্ছেন। অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের নতুন রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মায়ানমার সেনার অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন মুসলিম। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০১৭-র আগস্টের ২৫ তারিখ থেকে মায়ানমার সেনা রাখাইনে ‘আরসা’ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পরে অন্তত ৮ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আসলে রোহিঙ্গাদের দেশের নাগরিক হিসেবেই মনে করে না মায়ানমারের শাসকরা। শুধুমাত্র আরাকান প্রদেশেই ৫৩জন হিন্দু সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। রিপোর্টে ছ’জন হিন্দুর সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়েছে।
১৮ বছরের রাজ কুমারি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “ওরা আমাদের পরিবারের লোককে মেরেছে। ওদের হাতে ছুরি ছিল। কারও কারও হাতে আবার রডও ছিল।” অন্যদিকে, বাংলাদেশের কক্সবাজারের বন্যার আশঙ্কা করে বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সতর্কবার্তায় প্রায় দু’লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.