সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এল ডোরাডো’ বা সোনার শহরের খোঁজে ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে অগুনতি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন আফ্রিকার দুর্গম অরণ্যে। সোনার প্রতি সেই মোহে আজও অমলিন। সেই সঙ্গে চলছে সম্পদের দখল পেতে সংঘর্ষের ঐতিহ্য। পাপুয়া নিউগিনিতে সোনার খনির দখল নিয়ে সংঘর্ষ দুই গোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভংয়কর পরিস্থিতি শামাল দিতে পুলিশকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়েছে প্রশাসন। এলাকা ঘিরে ফেলে অপরেশনে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশটির পাহাড়ি এলাকা পোরগেরায় সোনার খনির কাছে চরম অশান্তি শুরু হয়েছে। সাকার গোষ্ঠীর সদস্যরা আগস্টের কোনও এক সময় প্রতিদ্বন্দ্বী পিয়ান্দের গোষ্ঠীর মালিকানাধীন জমিতে বসতি স্থাপন করে। এর পর থেকেই উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে ধুন্ধুূমার বাধে। শুধু রবিবারই ৩০০-র বেশি গুলি চলেছে বলে খবর। দুপক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরে গুলির লড়াই শুরু হয়। পাপুয়া নিউগিনির পুলিশ কমিশনার ডেভিড ম্যানিংয়ের বক্তব্য, অবৈধ খনি শ্রমিক, যারা সোনার খনি এলাকায় সম্প্রতি বসতি স্থাপন করেছিল, তাদের কারণেই পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
উল্লেখ্য, কানাডার মালিকানাধীন ওই সোনার খনিটি, পাপুয়া নিউগিনি দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বর্ণখনি বলে জানা গিয়েছে। সেখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে বেশ কিছু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এলাকার স্কুল, সরকারি অফিস বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। হাসপাতালেও নজর রাখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.