সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুশ হামলায় জ্বলছে ইউক্রেন। মারিওপোল দখল করেছে পুতিন বাহিনী। লুহানস্ককের সেভেরডোনেৎস্ক শহরের প্রায় সত্তর শতাংশ দখল করেছে রুশ সেনাবাহিনী। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার কিয়েভ পৌঁছন ইউরোপার তিন রাষ্ট্রপ্রধান। তাঁদের সফরে প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদ পাচ্ছে ইউক্রেন?
বৃহস্পতিবার পোলান্ড থেকে বিশেষ ট্রেনে কিয়েভ পৌঁছন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ এবং ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। কিয়েভে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের ফটকে ইউরোপীয় রাষ্ট্রপ্রধানদের স্বাগত জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাষ্ট্রপ্রধানদের সফরের কারণে পুরো এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কারণ, এর আগে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের ইউক্রেন সফরের সময়কালে কিয়েভে বোমা ফেলেছিল রাশিয়ার (Russia) সেনাবাহিনী। আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিকেও রেয়াত করেনি মস্কো।
তবে এবারের সফর নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা রয়েছে ইউক্রেন-সহ (Ukraine) গোটা বিশ্বে। ইইউ-এ ইউক্রেনের জায়গা হবে কি না, তা হয়তো শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। তার মুখে তিন গুরুত্বপূর্ণ ইইউ সদস্যের কিভ-সফরে কোথাও চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে জেলেনস্কির উদ্দেশে সরাসরি প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়, ‘‘আপনি যা চাইছেন, ইইউ কি আদৌ তা দেবে?’’ প্রেসিডেন্ট সপ্রতিভ ভাবে বলেন, ‘‘দেখা যাক।’’ তার পরেও প্রশ্ন আসে, ‘‘আপনি কি আশাবাদী?’’ এর আর কোনও উত্তর দেননি জ়েলেনস্কি। অতিথিদের নিয়ে প্রাসাদের ভিতরে চলে যান।
এদিন রাশিয়াকে কড়া বার্তা দিয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন জেলেনস্কি ও ইউরোপের তিন রাষ্ট্রপ্রধান। ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি বলেন, “আমরা চাই এই অত্যাচার বন্ধ হোক। শান্তি ফিরুক। কিন্তু ইউক্রেন যে কোনও মূল্যে নিজেকে রক্ষা করবে। যুদ্ধের যে কোনও কূটনৈতিক সমাধান কিয়েভের মত ছাড়া সম্ভব নয়।” বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার প্রতি নরম মনোভাব গ্রহণ করেছে ইউরোপ। বারবার পুতিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে তাঁর দাবি মেনে নেওয়ার একটি সুপ্ত বাসনাও প্রকাশ করেছেন বলে অভিযোগ ফরাসি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.