ফাইল ফোটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যুকে যতই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বলে দাবি করুক মোদি সরকার। কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে তরজা অব্যাহত। কিছুদিন আগেই কাশ্মীরের হালহকিকত দেখতে ভূস্বর্গে এসেছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৩ জন সাংসদ। তা নিয়ে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা করেছে কেন্দ্রের। এবার কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা। উপত্যকায় আটক প্রত্যেক রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি ও সেখানে ইন্টারনেট-সহ সবরকম যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করার জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছেন তাঁরা। মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।
গত ৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার একটি বাইপার্টিসান রেজোলিউশন পেশ করা হয় হাউজে। ইন্দো-মার্কিন ডেমোক্র্যাট সদস্য প্রমীলা জয়পাল রিপাবলিকান সদস্য স্টিভ ওয়াটকিন্সের সঙ্গে মিলে প্রস্তাবটি পেশ করেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই আইনপ্রণেতার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারত সরকার যেন অবিলম্বে কাশ্মীরে আটক রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেয় এবং ইন্টারনেট-সহ সবধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করে। উপত্যকায় ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করার কথাও রয়েছে প্রস্তাবে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তি বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। কাশ্মীরের পরিস্থিতি যতই স্বাভাবিক বলে দাবি করুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিরোধীদের হাতে নতুন করে হাতিয়ার তুলে দিচ্ছে মার্কিন কংগ্রেসের প্রস্তাব।
I have fought to strengthen the special U.S.-India relationship, which is why I’m deeply concerned. Detaining people w/out charge, severely limiting communications, & blocking neutral third-parties from visiting the region is harmful to our close, critical bilateral relationship.
— Rep. Pramila Jayapal (@RepJayapal) December 8, 2019
প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষদিকে গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫(এ) ধারা প্রত্যাহার করা হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয় ভূস্বর্গে। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে ১২০ দিনের বেশি। আর এর ফলে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কাশ্মীরিদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট। যা হচ্ছে সংস্থার নিয়ম মেনেই। কারণ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নিয়ম অনুযায়ী, ১২০ দিন কোনও মেসেজে লেনদেন না হলে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর কাশ্মীরিদের সঙ্গে সেটাই হচ্ছে।
এপ্রসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ফেসবুকের মুখপাত্র জানান, যা হচ্ছে তা সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী হচ্ছে। বিশ্বের সব জায়গাতেই ১২০ দিন সক্রিয় না থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখানেও তাই হয়েছে। নিরাপত্তা ও গ্রাহকদের তথ্য মজুত রাখার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তের ফলে কাশ্মীরের মানুষ ক্রমশই ডিজিটাল ইন্ডিয়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য প্রমীলা জয়পাল উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ইন্টারনেট পরিষেবা-সহ সবধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করে কাশ্মীরকে আগের মতো স্বাভাবিক করে দিতে প্রস্তাবে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.