Advertisement
Advertisement

লালফৌজের উপর প্রভাব বাড়ছে জিনপিংয়ের, আশঙ্কায় নয়াদিল্লি

২০৩৫-এর মধ্যে চিনা সেনাকে বিশ্বের সেরা বাহিনী করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন জিনপিং।

Resolution of Doklam standoff 'satisfactory': PLA
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 23, 2017 3:13 am
  • Updated:October 23, 2017 3:13 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোকলাম বিবাদের সমাধান ‘সন্তোষজনক’। রবিবার এমনটাই জানিয়েছে চিনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’। দলের অভ্যন্তরে উত্তরোত্তর ক্ষমতা বাড়ছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। লালফৌজের এই বার্তায় আরও স্পষ্ট হল সেই পরিস্থিতি। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দেশের প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হয়েছেন জিনপিং। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া প্রায় নিশ্চিত। এমনকী, নজিরবিহীনভাবে তিনি তৃতীয় দফাতেও শীর্ষ পদে আসীন হতে পারেন।

বর্তমানে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৯তম পার্টি কংগ্রেস চলছে। রবিবার তাঁরই পাশে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন অত্যন্ত প্রভাবশালী ‘সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন’-এর শীর্ষ আধিকারিক লিউ ফাং। ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, চিনের মাটিতে ভারতীয় সেনার অনধিকার প্রবেশ করে বিবাদ শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে। যদিও প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য মন্ত্রক যৌথভাবে কাজ করে সে সমস্যার সমাধান করেছে। ভারতের নাম না করে তিনি আরও জানান, বিভিন্ন দেশের সেনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে ‘পিএলএ’। ফলে ডোকলামে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়েছেন বাহিনীর সদস্যরাই।

Advertisement

[রাশিয়া-আমেরিকাকে পিছনে ফেলে নয়া ‘সুপারপাওয়ার’ হওয়ার দৌড়ে চিন]

লালফৌজের বক্তব্যে জিনপিংয়ের বাড়ন্ত প্রভাব স্পষ্ট বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। মসনদে বসেই দুর্নীতি দমনের নামে রাজনৈতিক বিরোধীদের উৎখাত করা শুরু করেছেন শি। তাঁর নিশানায় পড়ে হাজতে জায়গা হয়েছে সান ঝেংকাই-সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতাদের। সম্প্রতি, জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বানচাল করা হয়েছে বলে জানান, চিনের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান লিউ শিউ।

২০১২-য় জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ক্রমাগত সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে চিন। বর্তমানে তাদের সামরিক বাজেট প্রায় ১৪ হাজার কোটি ডলার, আমেরিকার পর সর্বোচ্চ। ২০৩৫-এর মধ্যে বাহিনীকে বিশ্বের অন্যতম সেরা করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন জিনপিং। কিন্তু তাতে এশিয়া মহাদেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। পার্টি ও লালফৌজের উপর জিনপিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাবে আশঙ্কায় রয়েছে দিল্লিও। কারণ চিনা সেনার আধুনিকীকরণের মাধ্যমে আগ্রাসী মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন জিনপিং। ফলে এশিয়া মহাদেশে দিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে ক্রমেই ক্ষমতার লড়াই যে আরও জমে উঠবে তা একপ্রকার স্পষ্ট।

[প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের চেষ্টা বানচাল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement