সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান জমানায় আইসিসের হামলায় কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তান (Afghanistan)। বিমানবন্দরের কাছে হওয়ার ধারাবাহিক বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছিল মার্কিন সেনা জওয়ান-সহ বহু আফগান নাগরিকের। সেই হামলার বদলা নিতেই পালটা মার্কিনি বিমানহানা হয় আফগানিস্তানে। আমেরিকার দাবি ছিল, ২৯ আগস্টের সেই হামলাতে খতম হয়েছে আইসিস খোরাসানের সদস্যরা। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এক রিপোর্টে অন্য কথা বলছে।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, কাবুলের বাসিন্দা আইমল আহমেদি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করেছিল মার্কিন ড্রোন (US Air Strike)। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ভাই এজমারাই আহমেদি গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়িয়ে ছিলেন আইমলের ছোট মেয়ে ও তাঁর ভাইয়ের দুই সন্তান। সেই গাড়িতে হামলা চালান মার্কিন ড্রোন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনটাই জানিয়েছেন আইমল।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই দিন সকালে একটি বিশেষ গাড়ি থেকে হামলা চালিয়েছিল আইসিস খোরাসানের (IS-K) জেহাদিরা। সেই একধরনের গাড়ি ছিল এজমারাই আহমেদির কাছে। সিকিউরিটির ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, আহমেদি সেই গাড়িটিতে জলের ড্রাম এবং তাঁর মালিকের জন্য একটি ল্যাপটপ তুলছেন। দু’টি গাড়ি একই ধরনের হওয়ায় মার্কিন সেনা কি বিভ্রান্ত হয়েছিল, উঠছে প্রশ্ন।
এজমারাই আহমেদি আদপে ক্যার্লিফোর্নিয়ার একটি ‘এইড’ এবং ‘লবিং’ গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। শুধু তাই নয়, কয়েক হাজার আফগান শরনার্থীর মতো তিনিও আমেরিকা আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই তাঁর উপর ড্রোন হামলা চলে। যদিও এহেন অভিযোগ অস্বীকার করেছে মার্কিন আধিকারিকরা। তাঁদের কথায়, গাড়ি ভর্তি বিস্ফোরক ছিল। তাই হামলা চালানো হয়। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এই রিপোর্ট নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের বুকে এয়ারস্ট্রাইক (Airstrike) করে আমেরিকা। সংবাদসংস্থা এএফপি (AFP) সূত্রে খবর, বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল এক আত্মঘাতী জঙ্গি। বিমানবন্দরে আরও বড় হামলার ছক ছিল। তা মার্কিন সেনার নজরে আসতেই আকাশপথে হামলা চালানো হয়। তাতেই আত্মঘাতী জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি আমেরিকার। আর তাতেই বিমানবন্দরে বড় নাশকতার ছক বানচাল করা সম্ভব হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.