সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ বোঝে না সে৷ বোঝে না কূটনীতির মারপ্যাঁচ৷ শুধু জানে তার নিজের যেমন খিদে পায়, তেমনই আর একজনেরও৷ তাকেও যেমন মাঝেমধ্যে না খেয়ে থাকতে হয়, আর একজনেরও তাই-ই অবস্থা৷ যে শৈশব আনন্দের হওয়া কথা, সেই বয়সেই এই গভীর সত্যি বুঝে গিয়েছে একরত্তিটি৷ আর তাই সামনে সাংবাদিককে দেখে সে ভেবেছে বুঝি অভুক্ত আর একজন৷ তাই নিজের খাবার তুলে দিল তাঁর মুখে৷ এ ছবিই ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়৷
সমগ্র বিশ্বে অন্যতম সমস্যাগুলির একটি যদি সন্ত্রাসবাদ হয়, অন্যটি তবে অবশ্যই উদ্বাস্তু সমস্যা৷ যে সমস্যায় জেরবার মায়ানমার, বাংলাদেশ, সিরিয়া, ইরাক, ইরান-সহ অন্যান্য বহু দেশ৷ প্রত্যেকদিনই পৃথিবীর একদল মানুষ নিজেদের জমি-বাড়ি-বাসস্থান ছেড়ে পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছেন অন্য দেশে৷ নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করছেন বিদেশে৷ এতে প্রাণও গিয়েছে অনেকের। তবে নিশ্চিন্তির অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের খোঁজে ছুটে বেড়াচ্ছেন মানুষ। তাঁরা জানেন না পরেরদিনের খাবারটা জুটবে কি না। তবে এইসবের মাঝেও তাঁদের মনে বেঁচে রয়েছে মানবিকতা৷ যার জন্য নিজে চরম অভুক্ত অবস্থায় থেকেও এক সাংবাদিককে দেখে খাবার এগিয়ে দিতে পারল সিরিয়ার উদ্বাস্তু শিবিরে থাকা এক শিশুটি। মানবিকতার এই নজিরের ছবি এখন ভাইরাল।
A journalist came to take a picture and she offered him food, thinking he was hungry.
The most beautiful picture of humanity for a refugee girl.
Tonight when you break your fast, can I request you make a special dua for all those children out there suffering in the wars.
— ®️عمر (@humbledmedic) May 27, 2018
[শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবথেকে বেশি শহিদ ভারতীয় জওয়ানরাই, মত রাষ্ট্রসংঘের]
সিরিয়ার একটি উদ্বাস্তু শিবিরের ছবি তুলতে গিয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। সবার ছবি তুলতে তুলতে হঠাৎই তাঁর চোখে পড়ে একটি শিশু। হাতে খাবার নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল সে। সময় নষ্ট না করে শিশুটির ছবি তুলতে যান সাংবাদিকটি। অপরিচিত ব্যক্তি দেখে লুকিয়ে পড়েনি ওই শিশুটি। বরং ওই অচেনা ব্যক্তির দিকেই এগিয়ে দেয় তার হাতে থাকা এক টুকরো খাবার। ছবিটি তোলেন ওই সাংবাদিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হতেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ শেয়ার করেন ছবিটি। খিদের কোনও দেশ হয় না, ছবির শিশুটি যেন এ সত্যিই বুঝিয়ে দিচ্ছে পৃথিবীকে।
[লাইনচ্যুত টয় ট্রেন, আতঙ্কিত যাত্রীরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.