সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) ‘সেনা অভ্যুত্থান’ ঘিরে সারা বিশ্বের চোখ এখন মস্কোর দিকে। এই পরিস্থিতিতে কার্যতই পিছু হটলেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন (Yevgeny Prigozhin)। তিনি ঘোষণা করেছেন, রক্তপাত এড়াতেই মস্কো অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। মস্কোর দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া বাহিনীকে সরিয়ে নিচ্ছেন।
ভারতীয় সময় শনিবার রাতে প্রিগোজিনের ওই ঘোষণার আগেই বেলারুশ সরকার দাবি করে, প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বিদ্রোহী নেতার বোঝাপড়া হয়েছে। আর তারপরই মস্কো অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে পুতিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। প্রিগোজিন কী করবেন সেদিকে চোখ ওয়াকিবহাল মহলের। তবে আপাতত বলাই যায়, প্রাথমিক ভাবে স্বস্তিতে রুশ প্রেসিডেন্ট। জানা গিয়েছে, প্রিগোজিন তাঁর বাহিনী নিয়ে বেলারুশ চলে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, শনিবারই সোশ্যাল মিডিয়া টেলিগ্রামে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান প্রিগোজিন হুঙ্কার দেন, ‘আনুষ্ঠানিক ভাবে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে।’ ভাড়াটে বাহিনীর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে আরও বলা হয়, ‘আমরা দেশভক্ত। মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার মতো মারাত্মক ভুল করেছেন প্রেসিডেন্ট।’ এরপরই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্কের রেশ।
সোভিয়েত ইউনিয়নে ডাকাতি ও জালিয়াতির অভিযোগে ৯ বছর জেলে কাটালেও পরবর্তী সময়ে পুতিনের ছত্রছায়ায় ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকেন প্রিগোজিন। একদিকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, অন্যদিকে রুশ প্রশাসনের অন্ধকার দিক সম্পর্কে জেনে ফেলা। ধীরে ধীরে ওয়াগনার বাহিনীর সর্বেসর্বা হয়ে আজ প্রিগোজিন হয়ে উঠেছেন পুতিনের মস্ত অস্বস্তির কারণ। সিরিয়া, লিবিয়া, ইউক্রেনে যুদ্ধ করেছে তাঁর ভাড়াটে সেনাবাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.