সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের ক্ষমতা দেখে এবার রীতিমতো আতঙ্কিত চিন। চলতি মাসের ২৬ তারিখে ভারতের দীর্ঘতম ভূপেন হাজারিকা সেতু (ধোলা-শদিয়া) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অসম ও অরুণাচল প্রদেশকে যুক্ত করা এই সেতুটি দেখে এবার চরম উদ্বেগে চিন। তাই সোমবার এক বিবৃতিতে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিন। এক বিবৃতিতে চিনের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ-সহ ভারত-চিন সীমান্তে যেকোনও ধরনের পরিকাঠামোর নির্মাণ ‘ভেবেচিন্তে’ করুক ভারত। ‘বিতর্কিত’ এলাকায় নির্মাণের ক্ষেত্রে ভারতকে আরও ‘সাবধান’ হতে হবে বলে পরোক্ষে সতর্ক করে চিন।
[কপিলের শো বন্ধ হতে দিলেন না সলমন খান]
তিনসুকিয়া জেলায় ব্রহ্মপুত্রের উপর সদ্যনির্মিত দেশের দীর্ঘতম ভূপেন হাজারিকা সেতু (ধলা-শদিয়া) ৯.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই সেতু তৈরির ফলে অসম ও অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য অন্তত ৪ ঘন্টা সময় বাঁচবে। ভারত-চিন সীমান্তের খুব কাছে থাকা এই ব্রিজ ৬০ টনের ব্যাটল ট্যাঙ্কের ওজন বহনেও সক্ষম৷ অসম ও অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দাদের পাশাপাশি ভারতীয় সেনাও এই সেতু ব্যবহার করে ভারত-চিন সীমান্তে দ্রুত ব্যাটল ট্যাঙ্ক নিয়ে পৌঁছে যেতে পারবে৷ ২০১১ সালে এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়৷ গোটা প্রকল্পের জন্য আনুমানিক ৯৫০ কোটি টাকা খরচ হয়৷ নয়া সেতুটি চালু হওয়ার ফলে তিনসুকিয়ায় রেল ও ডিব্রুগড় বিমানবন্দরে পৌঁছাতে সাধারণ মানুষের যে সুবিধা হবে তা বলাই বাহুল্য৷
[সন্তানদের অবহেলায় হাসপাতালে নিঃসঙ্গ এই বলিউড অভিনেত্রী]
নতুন সেতুটির অবস্থান অসমের রাজধানী দিসপুর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দূরে ও অরুণাচলের রাজধানী ইটানগর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু চিন সীমান্ত থেকে আকাশপথে এর দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার। মুম্বইয়ের বান্দ্রা-ওরলি সি লিঙ্কের চেয়েও নয়া ব্রিজটি ৩.৫৫ কিলোমিটার লম্বা৷ এতদিন তেজপুরের কাছে কালিয়াভোমরা ব্রিজ ছাড়া ৩৭৫ কিলোমিটার দূরে ধলা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রর উপর আর কোনও ব্রিজ ছিল না৷ নদীর দুই পারে যাতায়াতের জন্য জলপথই ছিল একমাত্র ভরসা৷ এই নয়া সেতু যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.