সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধের ফল হিসেব ধর্ষণ-অত্যাচার নয়। বরং যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজকে। সিরিয়ায় মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনকেই করে তোলা হচ্ছে যুদ্ধের হাতিয়ার। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রকাশিত সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠে এল এই ভয়াবহ বাস্তব।
[ ভাইরাল ছবির জের, ঘানার স্কুলকে কমপিউটর দিল ভারতীয় সংস্থা ]
গত প্রায় সাত বছর ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া। মূলে আছে দুই মহাশক্তির দ্বন্দ্ব। একদিকে আল আসাদকে সমর্থন জোগাচ্ছে রাশিয়া। অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন বিচ্ছিনতাকামী মতভেদে স্বাধীনতাকামী শক্তিগুলিকে ইন্ধন দিচ্ছে আমেরিকা। এই দ্বন্দে উলুখাগড়ার মতো প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। কেমিক্যাল বোমায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হচ্ছে দুধের শিশুদের। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট মোতাবেক, ধর্ষণকে সুপরিকল্পিতভাবে যুদ্ধের অস্ত্র করে তোলা হচ্ছে। আসাদের বাহিনীর অত্যাচার তাই লাগামছাড়া। বিদ্রোহ দমনের নামে সিরিয়ার সামাজিক জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রথম টার্গেট হলেন নারীরা। তাঁদের উপর নারকীয় অত্যাচার করে বিদ্রোহী পুরুষদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে সমাজের চেনা ছক।
[ ব্রিটেনকে পালটা রাশিয়ার, ২৩ জন ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল মস্কো ]
কীরকম সেই অত্যাচারের নমুনা? মানবাধিকার কাউন্সিলের রিপোর্টে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো। গণধর্ষণ বা ধর্ষণ তো নতুন কিছু নয়। প্রায় রেওয়াজে পরিণত করা হয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতারা জানাচ্ছেন, ধর্ষণ করা হচ্ছে স্বামী বা সন্তানদের সামনে। বাধা দিতে গেলে চোখের সামনেই আত্মীয়দের খুন করা হচ্ছে। চেকিংয়ের নামে মহিলাদের নিগ্রহ করা চলছে। কখনও যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোনও জিনিস। এমনকী বাদ যাচ্ছেন না বয়স্করাও। কিংবা নয় বছরের নাবালিকাও। তল্লাশির নামে বয়স্কদের যৌনাঙ্গে আঙুল গুঁজে দিচ্ছেন অফিসাররা। অফিসারদের সামনে নগ্ন মিছিল করে হাঁটতে হচ্ছে মহিলাদের। আর সেই সময়ই চলছে এই ধরনের অত্যাচার। সেনার অত্যাচারের থেকে বাঁচতে নিজেকে রক্ত, প্রস্রাব আর উকুনে মাখামাখি করে রেখেছিলেন এক মহিলা। মানবাধিকার কর্মীদের সামনে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা কবুল করেছেন তিনি। ধর্ষণ ও নারী নিগ্রহকে যে যুদ্ধের হাতিয়ার করে তোলা হয়েছিল তা খোলাখুলিই জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট। তবে ২০১৫ সালের পর থেকে যুদ্ধের ঠছক পালটেছে। ফলে এই প্রবণতা খানিকটা হলেও কমেছে বলে রিপোর্টে প্রকাশ।
[ ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ১৪ বিঘা জমি বেদখল, অভিযোগ কর্তৃপক্ষের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.