Advertisement
Advertisement

Breaking News

মিটিওর ও স্কাল্প মিসাইল নিয়ে এবার অপরাজেয় হচ্ছে রাফালে

এশিয়ায় আর কোনও যুদ্ধবিমানে নেই এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ক্ষমতা।

Rafale with meteor and scalp missiles will be game changer
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 7, 2019 8:45 am
  • Updated:October 7, 2019 8:45 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিটিওর ও স্কাল্প, এই জোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে আরও দুর্ধর্ষ এবং অপরাজেয় হতে চলেছে ভারতের বহুকাঙ্ক্ষিত রাফালে যুদ্ধবিমান। রবিবার সগর্বে একথা ঘোষণ করেছে ইউরোপের বিখ্যাত ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নির্মাতা এমবিডিএ। এমবিডিএ (মাতরা বায়ে ডায়নামিক্স) তৈরি করেছে মিটিওর ও স্কাল্প নামে দুটি শক্তিশালী অপ্রতিরোধ্য ক্ষেপণাস্ত্র।

[আরও পড়ুন: দশেরার আগে নাশকতার ছক বানচাল, কাশ্মীরে ধৃত জইশ জঙ্গি]

Advertisement

এদিন তারা জানিয়েছে, এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্র সহজেই বহন ও নিক্ষেপ করতে সক্ষম রাফালে। এশিয়ায় এমন কোনও দেশের এমন কোনও মডেলের যুদ্ধবিমান নেই যা এই জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র বহন ও নিক্ষেপ করতে পারে। সংস্থার ভারতীয় শাখার প্রধান লক পিয়েদেভাসে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, রাফালের মতো সর্বাধুনিক বহুমুখী মারণক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমানে যদি এই জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র জুড়ে দেওয়া যায় তাহলে রাফালে হবে ভয়ানক ও অপ্রতিরোধ্য। শত্রু সহজেই পরাজিত হবে এবং এশিয়ার আকাশে সহজেই ভারতীয় বিমানবাহিনী নিজেদের নিরঙ্কুশ আধিপত্য বজায় রাখতে হবে। কারণ এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্রই শত্রুপক্ষের বিমানবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে অনেকটাই পার্থক্য তৈরি করে দেয়।

তিনি বলেন, “ভারতে ফরাসি সংস্থা দাসাল্ট যে প্রথম দফায় ৩৬টি রাফাল সরবরাহ করছে সেই প্রকল্পে এমবিডিএ-ও যুক্ত আছে। কারণ রাফালের জন্য মিটিওর ও স্কাল্প আমরাই সরবরাহ করছি। ভারতীয় বিমানবাহিনীর নির্দেশ মেনে রাফালেগুলিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্যই ‘বিশেষভাবে কাস্টমাইজ’ করা হয়েছে।” মিটিওর হল এফ-১৬ ও এফ-২২ যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত ‘বভরাম’ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নততর ও উচ্চপ্রযুক্তির সংস্করণ। স্কাল্প ক্ষেপণাস্ত্র দুটি যুদ্ধবিমানের ডগফাইটের সময় জেতার ক্ষেত্রে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে।

বালাকোট অভিযান এবং সেই ঘটনার পর পরই পাক বিমানবাহিনীর হামলার যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য ভারতীয় বায়ুসেনার ৫১ ও ৯ স্কোয়াড্রন এবং ৬১ সিগন্যাল ইউনিটকে সম্মানিত করবেন নবনিযুক্ত বায়ুসেনা প্রধান আরকেএস ভাদোরিয়া। ৫১ স্কোয়াড্রনের গ্রুপ কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন সতীশ পাওয়ার এই সম্মান গ্রহণ করবেন বলে বায়ুসেনা জানিয়েছে। বালাকোটে জইশ ঘাঁটি ধ্বংসে মুখ্য ভূমিকা ছিল উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন ৯-এর। এই স্কোয়াড্রনের মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ‘গাছের উচ্চতায় উড়ে গিয়ে’ বালাকোটের জাবা পাহাড়ে জইশ ঘাঁটি ধ্বংস করে আসে। নিখুঁতভাবে অভিযান চালানোর জন্য এই স্কোয়াড্রনকেও সম্মানিত করা হবে।

অন্যদিকে, গোটা অভিযানে বায়ুসেনার ৬১ সিগন্যাল ইউনিটের ভূমিকাও ছিল অনস্বীকার্য। পাক বায়ুসেনার বিমান হামলা চালাতে আসছে, এই সঙ্কেতটাই তারা পৌঁছে দিয়ে সতর্ক করেছিল বায়ুসেনাকে। তাদের এই ভূমিকার জন্য পুরস্কৃত করা হবে। বায়ুসেনার এই ৫১ স্কোয়াড্রনে ছিলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইকের পর নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় সেনার ক্যাম্পগুলোতে পালটা হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তান থেকে কয়েকটি এফ-১৬, জেএফ-১৭ এবং মিরাজ-৬ উড়ে এসেছিল। কিন্তু সে চেষ্টা তত্পরতার সঙ্গে ব্যর্থ করে দেয় বায়ুসেনার মিরাজ-২০০০ এবং মিগ-২৯ বিমান। তাদের মধ্যে একটিতে ছিলেন অভিনন্দন বর্তমান।

[আরও পড়ুন: দুই রাজ্যে ভোটের মুখে ব্যাংককে ছুটি কাটাতে গেলেন রাহুল, ধন্দে দল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement