ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যু হয়েছে সালওয়ান মোমিকার? কয়েক মাস আগে কোরান পুড়িয়ে গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে, সুইডেনের কোরান (Quran) পোড়ানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে নরওয়েতে (Norway) চলে গিয়েছিলেন মোমিকা। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ছড়িয়েছে।
২০২৩ সালে ইদের দিন সুইডেনের (Sweden) রাজধানী স্টকহোমে কোরান পুড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান বছর সাঁইত্রিশের ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা। শহরটির সবথেকে বড় মসজিদের সামনে ধর্মগ্রন্থটিকে কুচি কুচি করে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। খণ্ডিত পৃষ্ঠাগুলোকে পা দিয়ে মাড়িয়েও দেন তিনি। পরে জানা যায়, এই কাজে অনুমতি দিয়েছিল সুইডেন প্রশাসন। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বাকস্বাধীনতার নীতি মেনেই মোমিকার প্রতিবাদী কর্মসূচিকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল।
এই ঘটনার পরেই সুইডেনের সঙ্গে ইরাকের সংঘাত চরমে উঠেছিল। পবিত্র ধর্মগ্রন্থের এমন হেনস্তায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল মুসলিম বিশ্ব। ইরাকের রাজধানী বাগদাদে (Baghdad) অবস্থিত সুইডেনের দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। তার পরই সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ইরাক। সেই সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছিল ইরান, তুরস্ক, কাতার, সৌদি আরবের মতো দেশগুলো। সুইডেনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে তারাও, এমন সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল।
এহেন পরিস্থিতিতে মোমিকাকে আর নিজেদের দেশে আশ্রয় দিতে চায়নি সুইডেন। ইরাক থেকে বিতাড়িত মোমিকাকে ২০২১ সালে আশ্রয় দিলেও সেই সিদ্ধান্ত পালটে ফেলে সুইডিশ প্রশাসন। ফলে নরওয়েতে চলে যান বাক স্বাধীনতার পক্ষে সুর চড়ানো মোমিকা। গত ২৭ মার্চ তিনি সোশাল মিডিয়ায় জানান, নরওয়েতেই নিরাপদে রয়েছেন। তার কয়েকদিনের মধ্যেই মোমিকার মৃত্যুর খবর ছড়ায়। নরওয়ের স্থানীয় একটি রেডিও চ্যানেল এই খবর প্রকাশ করে। কিন্তু এখনও সরকারিভাবে মৃত্যুর খবর জানায়নি প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.