সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকটা দিন। মার্চ মাস শেষ হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজপরিবার-রাজ পরিচয় ত্যাগ করে অন্য মানুষ হয়ে যাবেন প্রিন্স হ্যারি। স্ত্রী মেগান মর্কেল ও সন্তানের সঙ্গে অন্য ঠিকানায় শুরু করবেন নতুন জীবন। বাকিংহাম প্যালেস থেকে নাতির প্রস্থানে ব্যথিত রানি এলিজাবেথ (দ্বিতীয়)। তাই জানিয়ে দিলেন, হ্যারির জন্য রাজপ্রাসাদের দরজা সবসময় খোলা। যদি ভবিষ্যতে কখনও তিনি নিজের সিদ্ধান্ত বদল করে ফিরে আসতে চান, তবে হ্যারিকে প্রাণ খুলে স্বাগত জানাবে ব্রিটিশ রাজপরিবার।
রাজকীয় আভিজাত্যের বাইরে বেরিয়ে আরও স্বনির্ভর হতে চেয়েছিলেন বাকিংহামের ছোট রাজপুত্র হ্যারি। স্ত্রী, পুত্রকে নিয়ে কানাডায় থাকার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজেদের এই সিদ্ধান্তের কথা আচমকাই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন হ্যারি-মেগান। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল রাজপ্রাসাদের অন্দরে এবং বাইরে। জট কাটাতে আসরে নেমে হ্যারির ঠাকুমা, পরিবারের বর্তমান কর্ত্রী রানি এলিজাবেথও ছোট নাতির সিদ্ধান্তকে কার্যত মান্যতা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, নতুন জীবন শুরু করতে চান হ্যারি। তাঁর এই সিদ্ধান্তের পাশে পরিবারের সকলেই রয়েছেন। তবে রাজপরিবার ছেড়ে বেরিয়ে গেলে যে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলোও আর পাবেন না হ্যারি-মেগান, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ৯৩ বছরের রানি এলিজাবেথ।
এবার রানি জানিয়ে দিলেন, প্রিয় নাতির সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও রাজপ্রাসাদ তাঁর দিকে থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। রাজপরিবারের তরফে বলা হয়েছে, “রানি এলিজাবেথ স্পষ্ট জানিয়েছেন, হ্যারি ও মেগান কোনওদিন নিজেদের সিদ্ধান্ত পালটে ফেললে রানি তাঁদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাবেন।”
রাজপরিবার ত্যাগ করার পর রবিবার প্রথম উইন্ডসোর প্রাসাদে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় হ্যারির। সেখানেই প্রিয় নাতিকে নিজের মনের কথা বলেন তিনি। স্ত্রী মেগান ও প্রপৌত্র আর্চির খবরও নেন তিনি। এই সাক্ষাতের পর গুমোট পরিস্থিতি অনেকটাই কেটেছে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.