Advertisement
Advertisement

Breaking News

QUAD

চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতেই আস্থা QUAD গোষ্ঠীর, বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা মোদির

করোনা মোকাবিলায় ভারতের উপর ভরসা রাখতে চাইছে অধিকাংশ দেশ।

QUAD summit held, PM Modi held discussion with President Biden | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 13, 2021 8:33 am
  • Updated:March 13, 2021 8:33 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনকে (China) নজরে রেখে ব্লক তৈরির চেষ্টা শুরু হয়েছিল সেই ২০০৭ সাল থেকেই। অবশেষে বেজিংয়ের রক্তচক্ষুকে অবজ্ঞা করে শুক্রবার সন্ধ্যায় বসল প্রথম চতুর্দেশীয় অক্ষ বা QUAD রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠক। লালফৌজকে নজরে রেখে কোয়াড গোষ্ঠীর চার সদস্য দেশ– ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কৌশলগত আদানপ্রদান গভীর করাই এই মঞ্চের লক্ষ্য বলে প্রাথমিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন নেতারা। বিশেষ করে, চিনকে রুখতে ভারতই যে আমেরিকার ভরসা তা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠল।

[আরও পড়ুন: এপ্রিলে রাজ্যে আসছে রাফালে, বিধ্বংসী যুদ্ধবিমানের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনটি থাকবে হাসিমারায়]

চিন একাই ঘুম উড়িয়ে দিচ্ছে গোটা বিশ্বের। বেজিংয়ের অর্থনৈতিক, সাইবার এবং সামরিক আগ্রাসন নিয়ে আমেরিকা-সহ বিশ্বের চার বৃহৎ শক্তির জোটবদ্ধ হওয়া তারই ইঙ্গিত। কোয়াড গোষ্ঠীর মাথাব্যথার কারণ বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাব। বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারসাম্য রক্ষাই চ্যালেঞ্জ। করোনা টিকার উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি শুক্রবারের বৈঠকে এই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন চার রাষ্ট্রপ্রধান। ভবিষ্যতের স্বার্থে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত রাখতে কৌশলগত সমঝোতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উঠেছে আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রসঙ্গও। কূটনৈতিক লড়াইয়ে চিনকে কোণঠাসা করার লক্ষ্যে একাধিকবার চার দেশের আমলা-মন্ত্রীরা বৈঠকে বসেছেন। কিন্তু করোনা অতিমারী বদলে দিয়েছে পরিস্থিতি। তার জেরেই শুক্রবার প্রথমবার বৈঠকে মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।

Advertisement

ভারতীয় সংস্থাগুলির করোনা টিকা উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিকে ঢাল করে আসলে ‘চিনের টিকা’ আবিষ্কারের আলোচনা সারলেন চার রাষ্ট্রপ্রধান। মূলত মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির জন্য ভারতীয় উৎপাদক সংস্থাগুলির কার্যকরী মূলধনের জোগান অব্যাহত রাখতে নয়াদিল্লির আবেদনে শুক্রবারের কোয়াড শীর্ষ বৈঠক। করোনা অতিমারীর মোকাবিলায় ভারতীয় সংস্থাগুলির উপর ভরসা রাখতে চাইছে অধিকাংশ দেশ। আশঙ্কা, টিকা কূটনীতিকে হাতিয়ার করে আরও আগ্রাসী হবে চিন।

পূর্ব লাদাখ সীমান্তের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সামরিক সংঘাত উদ্বেগ বাড়িয়েছে কোয়াড গোষ্ঠীর। দক্ষিণ চিন সাগর এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা নৌবহরের ক্রমবর্ধমান দাপট আমেরিকার জন্য অস্বস্তির। ভারত-চিন বিতর্কে কোয়াড গোষ্ঠী নয়াদিল্লির পাশেই রয়েছে। তেমনই আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা রেখে দেওয়ার ব্যাপারে সায় দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এক্ষেত্রেও চিন্তা বা দুশ্চিন্তা সেই বেজিং। হোয়াইট হাউসের আশঙ্কা, কাবুল থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলে আফগানিস্তানে দাপট প্রতিষ্ঠা করবে লালফৌজ। পারস্পরিক স্বার্থ সুরক্ষিত করার মাধ্যমে একজোট থাকতে চায় ওয়াশিংটন, নয়াদিল্লি, টোকিও এবং ক্যানবেরা।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে ক্রমবর্ধমান চিনা বিনিয়োগের প্রভাব নিয়েও উদ্বিগ্ন কোয়াড গোষ্ঠী। ওভাল অফিসের দায়িত্ব নেওয়ার পর বাইডেন প্রথম কোনও বহুদেশীয় বৈঠকে অংশ নিলেন। বাইডেন প্রশাসন অবশ্য ভারসাম্য বজায় রাখতে চাইছে। আগামী সপ্তাহেই নয়াদিল্লি আসবেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। অন্যদিকে, চিনা আধিকারিকদের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠক করবেন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, স্থিরতা, সম্ভাবনার পরিবেশ বজায় রাখতে একযোগে কাজ করতে সহমত হয়েছেন চার রাষ্ট্রপ্রধান। এদিকে, কোয়াড গোষ্ঠীর বৈঠক নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে চিন। বেজিংয়ের অভিযোগ, তাদের নিশানা করেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। 

[আরও পড়ুন: মমতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দিল্লিতে কমিশনের দরবারে তৃণমূল, পালটা বিজেপিরও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement