সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আট মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কবে থামবে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ? কবে গাজায় বন্ধ হবে মৃত্যুমিছিল? হামাসের ডেরা থেকে মুক্ত হয়ে কবে পণবন্দিরা বাড়ি ফিরবে? চারদিকে এখন শুধু এই প্রশ্নগুলোই উঠছে। এই রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামাতে ক্রমশ চাপ বাড়ছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপর। সোমবার এই পরিস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। কোন পথে শান্তি ফিরতে পারে সেনিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তার পর রাষ্ট্রসংঘে গাজায় যুদ্ধ বিরতি নিয়ে আমেরিকার একটি প্রস্তাব পাস হয়।
কয়েকদিন আগেই আমেরিকা একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল ইজরায়েলকে। যা নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি তেল আভিভ। আন্তর্জাতিক মহলের চাপ উপেক্ষা করেই গোটা গাজা ভূখণ্ড গাজাজুড়ে তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। সাধারণ মানুষের মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছে ওয়াশিংটনও। এই পরিস্থিতিতে সোমবার জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করেন ব্লিঙ্কেন। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়।
রয়টার্স সূত্রে খবর, এদিনই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি প্রস্তাব দেয় আমেরিকা। খসড়াটির পক্ষে ১৪টি ভোট পড়ে। যা পাসও হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে হামাসও। ভোটদাতাদের মতে, “আর দেরি না করে দুপক্ষেরই কোনও শর্ত ছাড়া এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাওয়া উচিত।” এদিন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, “আজ আমরা শান্তি স্থাপনের জন্য ভোট দিয়েছি।” তবে এদিন ভোটদান থেকে বিরত ছিল রাশিয়া।
এদিকে, ইজরায়েল ও ইজরায়েলি সেনাকে কালো তালিকাভুক্ত করতে চলেছে রাষ্ট্রসংঘ। যুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগের কারণেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘আইডিএফ বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক সেনাবাহিনী। এবং রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের কোনও ‘চ্যাপ্টা পৃথিবী’ ধাঁচের সিদ্ধান্তে সেটা পরিবর্তিত হবে না।’ পাশাপাশি নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারির সম্ভাবনাও তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। এমনকী, নিজের দেশেই প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এর মাঝেই ইজরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রক ছেড়েছেন মন্ত্রী বেনি গানৎজ। ফলে আরও চাপে পড়তে হয়েছে নেতানিয়াহুকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.