সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তপ্ত আমেরিকা। পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে ফুঁসছে দেশ। রাস্তায় নেমে পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমেরিকার ৬টি প্রদেশে ডাক পড়েছে ন্যাশনাল গার্ডের। চরম অস্বস্তিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প।
করোনার মৃত্যুভয়, সামজিক দূরত্বকে শিকেয় তুলেছেন আমেরিকাবাসী। এক নিরীহ কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুতে জ্বলছে আমেরিকা। কোথাও মাস্ক পরে কোথাও বা করোনার নিয়মাবলীকে অগ্রাহ্য করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার প্রতিবাদী। পুলিশের গাড়ি-সহ রাস্তায় নেমে যত্রতত্র ভাঙচুর চালাচ্ছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে এদিন রবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। কিন্তু তাতেও বাগে আনা যায়নি প্রতিবাদীদের। বিক্ষোভকারীদের ডোন্ট কেয়ার স্বভাবে নাজেহাল হয়েছে পুলিশ। অস্থির পরিস্থিতি সামলাতে রবিবার আমেরিকার ৬টি প্রদেশে ন্যাশনাল গার্ডের ডাক পড়ে। ইতিমধ্যেই বিক্ষোভের জেরে ১৩টি প্রদেশে কারফিউ (Curfew) জারি করা হয়েছে।
জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকণ্ডে ইতিমধ্যে মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগের চার অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বিক্ষোভ সামাল দেওয়া যায়নি। আমেরিকার বিভিন্ন শহরগুলিতে নতুন করে দেখা দিয়েছে বিক্ষোভ। রবিবার চতুর্থ দিনেও বিক্ষোভের আগুনে তপ্ত দেশ। মার্কিন কারাগারে অন্যায় ভাবে জর্জ ফ্লয়েড নামের ওই কৃষ্ণাঙ্গকে খুনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলিতেও ক্রমে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদের আঁচ। লকডাউনের তোয়াক্কা না-করে, বিভিন্ন প্রান্তে ১০ হাজারেরও বেশি মার্কিনি প্রতিবাদে শামিল হন। বিক্ষোভকারীরা এদিন ফোর্ট গ্রিন পার্কে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একাধিক দোকানেও ভাঙচুর করা হয়। কয়েক’শো প্রতিবাদী ক্লিনটন হিলের ৮৮ তম এলাকা ঘিরে ফেলেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে একপর্যায়ে কাঁদানে গ্যাসও ছোড়ে পুলিশ। পরিস্থিতি ক্রমে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে থাকায়, মিনিয়াপোলিস ও সেইন্ট পল শহরে কারফিউ জারি করা হয়।
২০১৪-র অগাস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের ফার্গুসন শহরে এভাবেই এক নিরস্ত্র কৃষাঙ্গ যুবককে গুলি করে হত্যা করেছিলেন ড্যারন উইলসন নামে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশকর্তা। সেই অফিসারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করতে সেসময় অস্বীকার করেছিল গ্র্যান্ড জুরি। সেন্ট লুইস কাউন্টি প্রসিকিউটর রবার্ট ম্যাককুলচের বক্তব্য ছিল, ড্যারন উইলসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সম্ভাব্য কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এই বিক্ষোভের আঁচ কীভাবে মিটবে তা এখনও অজানা মার্কিন প্রসাসনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.