Advertisement
Advertisement

গুলশান হামলায় ধৃত অধ্যাপকের ভূমিকা স্পষ্ট

ধৃত অধ্যাপকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মিলল প্রমাণ!

Professor, 2 others arrested over links to Dhaka terror attack
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 18, 2016 3:24 pm
  • Updated:July 18, 2016 9:19 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এস এম গিয়াসউদ্দিন আহসান ও তার সঙ্গীরা গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারীদের শুধু আশ্রয় দেয়নি, হামলাতেও সহায়তা করেছিল বলে দাবি পুলিশের। অভিজাত এলাকা হিসেবে খ্যাত গুলশান-বারিধারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এ/৬ নম্বর ফ্ল্যাটে পুলিশি অভিযানে বেশ কয়েকটি বালি বোঝাই কার্টন এবং জামাকাপড় বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বালি ভর্তি এসব কার্টনে হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড রাখা হত। বসুন্ধরায় আটক জিনিসপত্রের সঙ্গে আর্টিজানে ব্যবহৃত জিনিসের নমুনার হুবহু মিল খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। বসুন্ধরার ফ্ল্যাটটি গিয়াসউদ্দিনের স্ত্রীর। মে মাসের মাঝামাঝি ফ্ল্যাটটি কয়েকজন অবিবাহিত যুবককে ভাড়া দেওয়া হয়। মাসিক ভাড়া ছিল ২২ হাজার টাকা। জঙ্গিরা দুই মাসের অগ্রিম ভাড়াও দেয়। ফ্ল্যাটটির ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, ভাড়া নেওয়ার পর ওই ফ্ল্যাটে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি যাতায়াত করত। গত ১ জুলাই শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার সময় গুলশানের হোলি আর্টিজান ক্যাফেতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ১৭ জন বিদেশি-সহ ২০ জনকে হত্যা করে। তাদের বোমায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। ১২ ঘণ্টা পর সেনা অভিযানে ওই রেস্টুরেন্টের রাঁধুনি সাইফুল চৌকিদার-সহ ৫ জঙ্গি নিহত হয়, এক জঙ্গি ধরা পড়ে। হামলাই জড়িত এক জঙ্গি নিব্রাস ইসলাম নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। ধৃত আরেক জঙ্গি হাসনাত রেজাউল করিম ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন শিক্ষক।

Advertisement

অন্যদিকে, সোমবার গুলশান জঙ্গি হামলায় জড়িত নিহত শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশকে যে রিক্রুট করেছিল, সেই মিলনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আশুলিয়া থানা সূত্রে খবর, তাকে জেরা করে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ধৃত মিলন আশুলিয়ায় এলাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে জঙ্গিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত বিকাশকে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার পিয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের চাকরি ব্যবস্থা করেছিলেন। গুলশানের ঘটনার প্রায় ৫ মাস আগে চাকরি ছেড়ে চলে যায়। এছাড়া এই স্কুলেই ইলিয়াস, নূর মহম্মদ ও আমিরুল নামে সন্দেহভাজন তিন জঙ্গি চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement