Advertisement
Advertisement
প্রীতি

ব্রিটিশ রাজনীতিতে চমক ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি প্যাটেলের, পেলেন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক

কে এই প্রীতি প্যাটেল? কীভাবে উত্থান হল ব্রিটিশ রাজনীতিতে?

Priti Patel, Indo-British Politician will be the new Interior Minister of Britain
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 25, 2019 7:43 pm
  • Updated:July 25, 2019 7:43 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেরেসা মে’র আমলে ব্রাত্য ভারতীয় বংশোদ্ভুত কন্যাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে চলেছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ তিনি বহু আলোচিত ব্রিটিশ-ভারতীয় কন্যা প্রীতি প্যাটেল৷ মে’র ব্রেক্সিট নীতির বিরোধিতা করে যিনি এক লহমায় ছেড়ে দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত দপ্তরের দায়িত্ব৷ এবার তিনিই হচ্ছেন ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী৷

[ আরও পড়ুন: আমেরিকার কাছে জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব লুকিয়েছে পাকিস্তান! স্বীকারোক্তি ইমরানের ]

প্রীতি প্যাটেল৷ ভারতীয় বংশোদ্ভূত বছর সাতচল্লিশের ব্রিটিশ মহিলা৷ এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পর থেকেই ঝুঁকে পড়েছিলেন রাজনীতিতে৷ ব্রিটেনের অন্যতম প্রধান দল কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগদানের আগে একটি ছোট দলে কাজ করে হাত পাকিয়েছেন৷ তারপর ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে কাজের সুবাদে নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন প্রীতি৷ ক্যামেরনই তাঁকে দলের প্রথম সারিতে নিয়ে আসেন৷ তাঁর আমলে প্রীতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দেশের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত মন্ত্রকের৷ ব্রিটিশ ইতিহাসে সেই প্রথম প্রশাসনের এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোনও ব্যক্তি৷ সে কাজ ভালই সামলেছেন তিনি৷

Advertisement

তারপর টেরেসার আমলে, ২০১৬ তে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রীতি প্যাটেলকে৷ তখন থেকে তিনি ব্রেক্সিট ইস্যুর পক্ষে প্রচার শুরু করেন৷ মে’র ব্রেক্সিট নীতির একেবারে কট্টর সমালোচক হয়ে উঠেছিলেন প্রীতি৷ সেই মতান্তর থেকেই ২০১৭ সালে মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে আসতে এতটুকুও দ্বিধা করেননি৷ নিজের দক্ষতায় কনজারভেটিভ পার্টির এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন প্রীতি৷ সেসবের জোরেই ফের নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার গুছিয়ে উঠতে পেরেছেন৷

[ আরও পড়ুন:‘পুলওয়ামা হামলায় জড়িত কাশ্মীরিরা, পাকিস্তানের যোগ নেই’, দায় এড়ালেন ইমরান]

বরিস জনসন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ফের প্রীতি প্যাটেলকে আনছেন সামনের সারিতে৷ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ – অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী হিসেবে বরিস তাঁকে বেছে নিয়েছেন৷ খবর ছড়িয়ে পড়তে অনেকেই মনে করছেন, বরিস-প্রীতি জুটি আগামী ৫ বছরে ঘর গুছিয়ে দেবেন ভালভাবে৷ ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটেনের অন্দরেও তো কম ভাঙন ধরেনি৷ নতুন দায়িত্ব পেয়ে সেসব ফাটল মেরামতির দায়িত্ব কিন্তু যেমন প্রধানমন্ত্রীর, তেমনই অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীরও৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement