সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা। প্রায় প্রতিটি দেশে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সামনে থেকে করোনা যুদ্ধে লড়ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষ। এই সময় এগিয়ে এসেছেন আক্রান্তদের সেবায়। কিছুদিন আগে মিস ইংল্যান্ড ভাষা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পুরনো পেশা ডাক্তারিতে ফিরে গিয়েছেন। আর এবার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন সুইডেনের রাজকুমারী সোফিয়া।
স্টকহোমের সোফিয়াহেমেট হাসপাতালে কাজ শুরু করেছেন তিনি। ৩৫ বছর বয়সি সুইডেনের এই রাজকুমারী এই হাসপাতালেরই একটি সম্মানীয় পদে রয়েছেন। নিজের হাসপাতালেই এখন তিনি স্বেচ্ছায় রোগীদের সেবার কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে সোফিয়া সরাসরি করোনা আক্রান্তদের সেবার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। পরিবর্তে, তিনি হাসপাতালের অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্য করবেন। অনলাইনে একসময় তিনদিনে একটি ইনটেনসিভ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন সোফিয়া। তার ভিত্তিতেই সংকটজনক এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অকুতোভয় সোফিয়া।
স্টকহোমের সোফিয়াহমেট হাসপাতালের অনলাইনে একটি কোর্সটি চালু করেছে। একটি মানুষকে নন-মেডিক্যাল কাজকর্ম শেখানো হয়। এই মহামারি পরিস্থিতিতে কীভাবে সবকিছু স্যানিটাইজ করতে হবে, কীভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে রান্নাঘর, তা বলা হয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশের মতো সুইডেনেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরদের কাজ হালকা করতেই এই প্রশিক্ষণ চালু হয়েছে। হাসপাতাল কর্থৃপক্ষ সপ্তাহে ৮০ জনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। রয়্যালস অফ সুইডেনের পক্ষ থেকে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি আপলোড করা হয়েছে। সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে সোফিয়াতে সামাজিক দূরত্ব মেনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সেখানেই ঘোষণা করা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের কষ্ট লাঘব করতে রাজকুমারী সোফিয়া স্বাস্থ্য পরিষেবায় যোগ দিয়েছেন।
কিছুদিন আগে করোনা মোকাবিলায় ফের চিকিৎসকের দায়িত্বে ফিরেছেন ‘মিস ইংল্যান্ড ২০১৯’ ভাষা মুখোপাধ্যায়। ব্রিটেনের পরিস্থিতি জানা পর বোস্টনের পিলগ্রিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ‘মিস ইংল্যান্ড’ খেতাব জয়ের আগে সেখানেই তিনি জুনিয়র চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এখন সেখানেই চিকিৎসক হিসেবে যোগ দিয়েছেন ভাষা। তিনি জানিয়েছেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে বাড়ি ফিরেই প্রথমে চিকিৎসার কাজে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কারণ তাঁর কথায়, “এই ডিগ্রি আমার কীসের জন্য! মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এর থেকে আর ভাল সময় কীই বা হতে পারে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.