সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজকুমার হ্যারি (Prince Harry) ও মেগানের সন্তানের গায়ের রং কী হবে? দম্পতির প্রথম সন্তানের জন্মের আগে থেকেই ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম চর্চা ছিল এই প্রশ্ন। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে বিষয়টি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন হ্যারি। তাঁর মতে, এই প্রশ্ন উঠেছে মানেই ব্রিটিশ রাজপরিবার জাতিবিদ্বেষী, এমনটা নয়। সকলের অবচেতনেই একটা ধারণা রয়েছে, সেখান থেকেই এই প্রশ্নের উৎপত্তি বলে মনে করেছেন রাজকুমার হ্যারি। প্রসঙ্গত, ওপরা উইনফ্রের শোয়ে এসে হ্যারি-মেগান জানিয়েছিলেন, রাজপরিবারের একজন সদস্য বারবার করে তাঁদের সন্তানের গায়ের রং নিয়ে প্রশ্ন করতেন।
কয়েকদিন পরেই প্রকাশিত হবে রাজকুমার হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’। তার আগেই একটি ব্রিটিশ টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। জীবনের একাধিক বিষয় নিয়েই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। মেগানের সঙ্গে তাঁর প্রথম সন্তান আর্চির জন্মের আগেই তার গায়ের রং নিয়ে প্রশ্ন তোলা-এই বিষয়টিকে হ্যারি কি জাতিবিদ্বেষী বলে মনে করেন? সঞ্চালকের এই প্রশ্নের উত্তরে হ্যারি সাফ জানান, “একেবারেই না। মেগানও এই প্রশ্নটিকে জাতিবিদ্বেষী বলে ভাবেনি। আসলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এই কথা বলে বিতর্ক তৈরি করেছিল।”
হ্যারির মতে, অবচেতনেই বিশেষ কোনও জিনিসের প্রতি পক্ষপাতিত্ব তৈরি হয়। সেখান থেকেই কৌতূহল জাগে, রাজপরিবারের সদস্যের গায়ের রং কি হতে চলেছে। রাজকুমার বলেছেন, “আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, জাতিবিদ্বেষ আর পক্ষপাতিত্বের মধ্যে অনেক তফাত আছে।” প্রসঙ্গত, ওপরা উইনফ্রের শোয়ে এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই তৎকালীন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, জাতিবিদ্বেষী আচরণ সমর্থন করে না রাজপরিবার।
অন্যদিকে, হ্যারির আত্মজীবনী প্রকাশের আগেই একাধিক বিতর্কিত তথ্য ফাঁস হয়েছে। জানা যায়, মেগান মার্কেলের নিন্দা করে রাজকুমার হ্যারিকে মারধর করেছিলেন তাঁর দাদা উইলিয়াম। কলার চেপে ধরে তাঁকে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন দাদা উইলিয়াম, এমনটাই দাবি করেছেন হ্যারি। তবে বই প্রকাশের আগে সাক্ষাৎকারে দাদার সঙ্গে সুসম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ রাজকুমার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.