সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা যুদ্ধে শামিল প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মর্কেল। লস অ্যাঞ্জেলসের অসুস্থ লোকদের মধ্যে খাবার বণ্টন করলেন তাঁরা। ক্যালিফোর্নিয়ায় আসার পর এই প্রথম জনসাধারণের জন্য এগিয়ে এলেন তাঁরা। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মার্কিন মুলুকে এখন চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষেরই নুন আনতে পান্তা ফুরোয় দশা। দেশের দরিদ্র ও অসুস্থদের পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন। তাই দেশের অসুস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন হ্যারি-মেগান।
সম্প্রতি ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মর্কেল। গত রবিবার প্রজেক্ট অ্যাঞ্জেল ফুড নামে একটি স্বেচ্ছাসেবীর সংস্থার সঙ্গে কাজ করেন তাঁরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার সরবরাহ করেন। সংস্থার জনসংযোগ আধিকারিক অ্যান-মেরি উইলিয়ামস বলেন, “হ্যারি ও মেগান এখানে ইস্টার সানডে উপলক্ষে এসেছিলেন। কিন্তু তারপর, বুধবার, তাঁরা তো আমাদের অবাক করে দেন। সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রিচার্ড আয়ুব জানান, হ্যারি ও মেগান তাঁদের জিজ্ঞাসা করেন, রেজ কতজনের খাবার তৈরি করেন তাঁরা? কীভাবে খাবার তৈরি হয়? এরপর বুধবার সংস্থার সঙ্গে অসুস্থদের খাবার বিতরণ করেন তাঁরা।
রাজকীয় আভিজাত্যের বাইরে বেরিয়ে আরও স্বনির্ভর হতে চেয়েছিলেন বাকিংহামের ছোট রাজপুত্র হ্যারি। স্ত্রী, পুত্রকে নিয়ে কানাডায় থাকার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজেদের এই সিদ্ধান্তের কথা আচমকাই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন হ্যারি-মেগান। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল রাজপ্রাসাদের অন্দরে এবং বাইরে। জট কাটাতে আসরে নেমে হ্যারির ঠাকুমা, পরিবারের বর্তমান কর্ত্রী রানি এলিজাবেথও ছোট নাতির সিদ্ধান্তকে কার্যত মান্যতা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, নতুন জীবন শুরু করতে চান হ্যারি। তাঁর এই সিদ্ধান্তের পাশে পরিবারের সকলেই রয়েছেন। বর্তমানে কানাডার ভিক্টোরিয়ায় সংসার পেতেছেন হ্যারি, মেগান ও তাঁদের ছেলে আর্চি। দিনকয়েক আগে তাঁরা ক্যালিফোর্নিয়া আসেন। মার্কিন মুলুক তখন করোনা মহামারিতে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের কথা না ভেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। প্রকৃত পক্ষেই যে তাঁরা সাধারণ জীবনযাপন করতে চান, তা এদিন দেখিয়ে দিলেন ব্রিটেনের প্রিন্স ও তাঁর স্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.