Advertisement
Advertisement

Breaking News

গ্রেটা থুনবার্গ

দাভোসের মঞ্চে নতুন ‘বন্ধুত্ব’, কিশোরী পরিবেশকর্মী গ্রেটার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রিন্স চার্লসের

ট্রাম্পের চক্ষুশূল হলেও চার্লসের বেশ পছন্দের সুইডিশ কিশোরী।

Prince Charles meets Greta Thunberg at Davos 2020 summit
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 23, 2020 2:08 pm
  • Updated:January 23, 2020 2:08 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্টের চক্ষুশূল। কিন্তু ব্রিটিশ রাজকুমারের বেশ পছন্দের পাত্রী হয়ে উঠল কিশোরী পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে পরিবেশ সচেতনতায় গুরুত্বপূ্র্ণ বক্তব্য পেশের পর প্রিন্স চার্লস দেখা করলেন গ্রেটার সঙ্গে। ক্ল্যারেন্স হাউজের তরফে টুইট করে দু’জনের সাক্ষাতের ছবি দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, গ্রেটার প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রিন্স চার্লস। আর তাঁকে গ্রেটারও বেশ পছন্দ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

charles-greta-meet1

Advertisement

গত সোমবার থেকে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক সম্মেলন, যেখানে অন্যতম আলোচ্য বিষয় বিশ্ব উষ্ণায়ন ও পরিবেশ রক্ষা। নজিরবিহীনভাবে সেই মঞ্চে বিশ্বের তাবড় নেতাদের পাশাপাশি আমন্ত্রিত হিসেবে নিজের বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছেন সপ্তদশী সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। বক্তব্য রাখতে উঠে নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই রাষ্ট্রনেতাদের নিশানা করেছে সে। বিশেষত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে ”বড় বড় কথা এবং ফাঁকা প্রতিশ্রুতি” মন্তব্যে বিঁধেছে গ্রেটা। আর তার জন্য ফের ট্রাম্পের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে এই কিশোরী।

[আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাস আতঙ্কে যানবাহন বন্ধ, চিন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ইউহান প্রদেশ]

তবে ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লসের বক্তব্য গ্রেটার বেশ পছন্দ হয়েছে। বুধবার কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং পরিবেশ রক্ষায় প্রথম বিশ্বের দেশগুলিকে সদর্থক পদক্ষেপ বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছেন প্রিন্স চার্লস। দূষণ রুখতে নিজের দায়িত্ববোধ বজায় রাখতে তিনি সুইজারল্যান্ডের সেন্ট গ্যালেন থেকে বৈদ্যুতিক গাড়িতে চড়ে পৌঁছেছেন ৮০ মাইল দূরের দাভোসে। বুঝিয়েছেন, তিনি শুধুই কথার কথা বলেন না। নিজের সাধ্যমতো কাজেও পরিবেশ সচেতনতা বজায় রাখেন।

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের এয়ারপোর্টে শূকরকে ধাক্কা মেরে থমকে গেল বিমান]

দাভোসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রিন্স চার্লস বলেন, ”কার্বন নিঃসরণ কমাতে আমরা যে পথে এগোচ্ছি, তাকে ধরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে বাণিজ্যিকভাবে এই উদ্যোগে শামিল হোন সকলে।” তাঁর আরও বক্তব্য, ”২০২০ সালে আমরা নিজেদেরকে সঠিক পথে নিয়ে যাব। যে বিপর্যয় আমরা নিজেরাই ডেকে এনেছি, তা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বের করে আনতে আমাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে। আমি নিজে পরিবেশ সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচারের সময়ে ছেলে-নাতি-নাতনিদের কথা মাথায় রাখি।”

charle's-grandchildren

দাভোসের মঞ্চে যখন সত্তরোর্ধ্ব প্রিন্স চার্লস পরিবেশ নিয়ে এত সচেতনতার কথা বলছেন, সেসময় দর্শকাসনে বসে চুপ করে তা মন দিয়ে শুনছে কিশোরী পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। তারপর দু’জনের সাক্ষাৎ হয়। একে অন্যের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় করেন। চার্লস-গ্রেটার করমর্দনের ছবি টুইটারে পোস্ট করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দু’জনের হাসি হাসি মুখের ছবি নিঃসন্দেহে বেশ ঈর্ষার কারণ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। কারণ, গ্রেটা তাঁর চক্ষুশূল। দাভোস থেকেও তিনি গ্রেটার সমালোচনা করেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement