সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই শেষ হতে চলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট। মার্কিন সংসদে চলা তুমুল বিতর্কের পর শেষ হাসি হাসতে চলেছেন ট্রাম্পই, বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সদ্য ইমপিচমেন্ট তদন্তে সব তথ্যপ্রমাণ জমা এবং সাক্ষীদের ডেকে পাঠানোর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন সেনেটররা। এছাড়াও, মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে ১০০টির মধ্যে ৫৩টি আসনের দখল রয়েছে রিপাবলিকানদের হাতে। ৪৭টি আসন নিয়ে হম্বিতম্বি করলেও প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করা সম্ভব নয় বলেও জানে ডেমোক্রেটিক পার্টি। এহেন পরিস্থিতিতে আগামী বুধবার সেনেটে ইমপিচমেন্ট নিয়ে চূড়ান্ত ভোটাভুটি হতে চলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, গোটা প্রক্রিয়ায় ডেমোক্রেটিক পার্টির ‘বিদ্রোহী’ সেনেটরদের উপর নজর থাকবে। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, বেশ কয়েকজন ডেমোক্রেট ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিতে পারেন। বাস্তবেই তা হলে, ঘরে ও বাইরে কূটনৈতিক স্তরে বড় জয় হবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের।জল্পনা বাড়িয়ে এখনও পর্যন্ত গোটা ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া নিয়ে মুখ খোলেননি ডেমোক্রেটিক পার্টির তিন সেনেটর। তাঁর হলেন–আলাবামার ডো জোন্স, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার জো মানচিন ও এরিজোনার খ্রিস্টেন সিনেমা। উল্লেখ্য, এই তিন প্রদেশেই ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ফলে নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই দলের বিরুদ্ধে যেতে পারেন এই তিন সেনেটর বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করেন ডেমোক্রেটরা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী জো বিডেন এবং তাঁর ছেলের ব্যাপারে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করতে ইউক্রেনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন ট্রাম্প। ইউক্রেন রাজি না হওয়ায় একক সিদ্ধান্তে তাদের ৪০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা অনুদান বন্ধ করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও, মার্কিন কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগও আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এ ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাশও হয়ে যায়। সব মিলিয়ে এপর্যন্ত তৃতীয়বার এই প্রক্রিয়ার সাক্ষী থাকল আমেরিকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.