সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে বরখাস্ত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই পদক্ষেপে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে ‘সাদা বাড়ি’ ও ওয়াশিংটনের অলিন্দে।
[আরও পড়ুন: মহরমের অনুষ্ঠানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কারবালায়, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৩১]
মঙ্গলবার বোল্টনকে বরখাস্ত করে ট্রাম্পের টুইট, ‘আমার সঙ্গে অনেকদিন ধরেই বোল্টনের বিভিন্ন বিষয়ে প্রচণ্ড মতপার্থক্য হচ্ছিল। আমরা আমেরিকার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনও বিষয়েই একমত হতে পারছিলাম না। তাই আমি নিজে থেকেই বোল্টনকে সরে যেতে বলি। উনি এতদিন যে কাজ করেছেন সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ। আজ সকালেই বোল্টন ইস্তফা দিয়েছেন। আমি এসব ব্যাপারে দেরি করতে চাই না। এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ করব।’ এদিকে, একটি টুইট করে বোল্টন জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে সোমবার রাতেই তিনি পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তবে সেই সময় ‘কাল কথা বলব’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান ট্রাম্প।
আফগানিস্তান, রাশিয়া, চিনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ, সন্ত্রাস দমন, সিরিয়ার যুদ্ধ, অভিবাসন নীতি, কাশ্মীরে মধ্যস্থতা, মেক্সিকো সীমান্তে পাঁচিল দেওয়া-সহ অনেক ইস্যুতেই ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছিল বোল্টনের। ফল হাতেনাতে। ট্রাম্পের জমানায় বোল্টন ছিলেন তৃতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তাঁকে ওই পদে বসিয়েছিলেন ট্রাম্প নিজেই। বোল্টনকে বরখাস্ত করায় ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলি।
বিশ্বে আগ্রাসী ও প্রচণ্ড একগুঁয়ে হিসেবে পরিচিতি রয়েছে সদ্য প্রাক্তন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের। ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার কড়া পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন বোল্টন। শুধু তাই নয়, রাশিয়া, চিন ও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসী নীতি নেওয়ার উকালতিও বারবার করে গিয়েছেন তিনি।
I informed John Bolton last night that his services are no longer needed at the White House. I disagreed strongly with many of his suggestions, as did others in the Administration, and therefore….
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) September 10, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.