সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মীয় বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে অস্ট্রেলিয়ায়। সিডনির একটি ক্যাফেতে এক মুসলিম গর্ভবতীর পেটে লাথি মারার ভিডিও ভাইরাল হতেই এমন সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন এ ধরনের অন্তত একটি করে ঘটনা সে দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। আতঙ্ক গ্রাস করছে সাধারণ মানুষজনকে।
দিন কয়েক আগে, সিডনির একটি ক্যাফেতে বন্ধুদের সঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করছিলেন চার মুসলিম মহিলা। তাঁদের মাথায় হিজাব ছিল। এঁদের মধ্যে একজন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও ছিলেন। হঠাৎই এক ব্যক্তি ক্যাফেতে ঢুকে তাঁদের দেখামাত্রই তেড়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বছর তেতাল্লিশের ওই ব্যক্তি প্রথমে মহিলাদের টেবিলের কাছে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে রুক্ষ আচরণ শুরু করে, চিৎকার করে কথা বলে। কিছুক্ষণ পর গর্ভবতী মহিলার পেটে সরাসরি লাথি মারে ওই ব্যক্তি। শুধু তাইই নয়, লাথি মারতে মারতে তাঁকে চেয়ার থেকে ফেলে দেয়। তারপরও তার আক্রোশ কমেনি। মারতেই থাকে সে।ক্যাফের অন্যান্যরা ছুটে গিয়ে তাকে থামানোর চেষ্টা করলে, তারাও অল্পবিস্তর আক্রান্ত হন। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় হামলাকারীকে। জামিনের আবেদন জানালেও, তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে একে ‘মুসলিম বিদ্বেষী হামলা’ বলেই চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ইন্সপেক্টরের কথায়, ‘ক্যাফের বাকিরা যেভাবে এগিয়ে গিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করেছে, তা সাধুবাদযোগ্য। নাহলে ওনার বড়সড় ক্ষতি হয়ে যেত।’ পুলিশ সূত্রে খবর, হামলাকারীর ঔদ্ধত্য দুঁদে অফিসারদেরও চমকে দিয়েছে। তাঁরা বলেছেন যে গ্রেপ্তারির পর জেলে বসেও সে বুঝতে চাইছে না যে কী অপরাধ করেছে। এই মনোভাব অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করছেন মনোবিদরা। অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেশন অফ ইসলামিক কাউন্সিল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এটা একেবারেই
ইসলাম বিদ্বেষী একটি কাজ। সিডনির বুকে এমন নিন্দনীয় ঘটনা আগে কবে ঘটেছে, তা মনে করতে পারছেন না তাঁরা। আইনের মাধ্যমে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছেন তাঁরা। ঘটনার ভিডিও নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দায় সরব সকলে।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.