সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর পরই ভারতের প্রতিটি প্রান্তে হিন্দুত্ববাদের ঝাণ্ডা ওড়ানোর চেষ্টা চলছে। ঠিক তখনই তার উলটো ছবি চোখে পড়ছে পাকিস্তানে। সেখানে বসবাসকারী হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিতে এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।
এর মধ্যে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তান (Pakistan) -এ বসবাসকারী হিন্দু (Hindu) -দের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবেই ধরা হয়। তখন থেকেই বিভিন্নভাবে অত্যাচার চালিয়ে তাঁদের ধর্মান্তরিত করারও চেষ্টা চলে। তবে এখন পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইমরান খানের প্রশাসন চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি গরিব হিন্দুদের উপর চারিদিক থেকে চাপ দিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করানোর চেষ্টা করছে। না হলে তাঁদের কোনও সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী কয়েকটি জায়গায় হিন্দুদের জমি জোর করে দখল করে নিচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা। অপহরণের পর জোর করে বিয়ে করা হচ্ছে হিন্দু পরিবারের কিশোরী ও যুবতীদের। গত জুন মাসে সিন্ধুপ্রদেশের বাদিন জেলার প্রচুর হিন্দুকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয় বলেও খবর। এমনকী করোনার কারণে জারি হওয়া লকডাউন (Lockdown) – এর সময়ে হিন্দু পরিবারগুলিকে রেশনও দেওয়া হয়নি। প্রাণ বাঁচাতে বাধ্য হয়ে ধর্ম পালটাচ্ছেন হিন্দুরা।
এপ্রসঙ্গে বাদিন জেলার বাসিন্দা মহম্মদ আসলাম শেখ নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘জুন মাস পর্যন্ত আমার নাম ছিল শাওন ভিল। হিন্দু হওয়ার জন্য কোনও রকম সুযোগ-সুবিধা পেতাম না। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদের অত্যাচারে শিকার হতে হত। সামাজিক কোনও জায়গা ছিল না। বাধ্য হয়ে ধর্ম বদলেছি।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশভাগ হওয়ার সময় পাকিস্তানে ২০.৫ শতাংশ হিন্দু ছিলেন। কিন্তু, ১৯৯৮ সালে সেই সংখ্যাটি মাত্র ১.৬ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছিল। তারপর থেকে গত ২০ বছরের ক্রমশ কমেছে হিন্দু ধর্মের মানুষের সংখ্যা। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.