সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত না চিন? নেপালের নীতিনির্ধারকদের ঘুম কেড়েছে এই প্রশ্ন। একদিকে ‘রুটি-বেটি’র সম্পর্কে ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ ভারত। অন্যদিকে ঋণের পসরা সাজিয়ে বসা চিন। কোন জোটে সুরক্ষিত নেপালের ভবিষ্যৎ? এসব প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত নেপালের শাসক দল ‘নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি’ (NCP)। তবে নেপালের ভবিষ্যতের চাইতেও এই মুহূর্তে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।
আজ, অর্থাৎ শনিবার, বালুয়াটারে বৈঠকে বসতে চলেছে শাসকদলের নয় সদস্যের কোর কমিটি। সেখানেই স্থির করা হবে ওলির ভবিষ্যৎ। সূত্রের খবর। শুক্রবার NCP’র কো-চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দাহালের (প্রচণ্ড) সঙ্গে বৈঠকে অনেকটাই সুর নরম করেছেন ওলি। যদিও, ওলির এই পরিবর্তন গদি বাঁচাতে আরও কিছুটা সময় হাসিল করার ফন্দিও হতে পারে। এদিকে, শনিবার বালুয়াটারের বৈঠকে যদি ওলি যোগ না দেন, তবে আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক ডাকা হতে পারে। সেখানেই স্থির হবে ওলির প্রধানমন্ত্রী কুরসি ও দলের কো-চেয়ারম্যানের পদ কি আদৌ থাকছে। না দুটোই খোয়াতে হবে তাঁকে।
অতিমাত্রায় চিনপন্থী হওয়ায় করোনা ভাইরাস থেকে শুরু করে রামচন্দ্র নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। নতুন করে সীমান্ত বিবাদ তৈরি করে দু’দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কে আঘাত করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেই ভারতের এজেন্ট বলে দগিয়ে দিচ্ছেন তিনি। এর ফলে বিরোধী মহলে এবং দলের অন্দরেই ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়েছেন ওলি। এককালের বন্ধু থেকে বর্তমানের বিক্ষুব্ধ শিবিরের প্রধান সেনাপতি পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ডের সঙ্গে কিছুতেই বনিবনা হচ্ছে না তাঁর। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ইস্তফা দিতে হলে শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিকে (NCP) দু’টুকরো করে ফেলার হুঁশিয়ারিও দিয়ে ফেলেছেন ওলি। বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির মসনদ বাঁচাতেই আসরে নেমেছে চিন। নেপালের (Nepal) শাসকদলের মধ্যে কলহ মিটিয়ে ‘চিনপন্থী’ ওলিকেই আসনে রাখতে মরিয়া চিন (China)।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.