সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করাচি চুক্তির বিরোধিতা করে রাওয়ালপিণ্ডিতে বের হল প্রতিবাদ মিছিল। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতারা এই ইস্যু তুলে মঙ্গলবার প্রতিবাদে শামিল হন।
১৯৪৯ সালের ২৮ এপ্রিল পাকিস্তান সরকার ও আজাদ কাশ্মীরের সরকারের মধ্যে করাচি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এটি সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানের সপক্ষে ছিল। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষের ক্ষমতা ও দায়িত্ব অনেকাংশে ক্ষুণ্ণ করা হয়েছিল। ব্রাসেলসের ইউনাইটেড কাশ্মীর পিপলস ন্যাশনাল পার্টির (UKPNP) জামি মাকসুদ বলেছেন, চুক্তি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়ার পর তাঁরা জানতে পারেন এলাকার প্রশাসনিক দায়িত্ব নিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু উন্নয়নের কোনও দায়িত্বই তারা নেয়নি। এলাকার উন্নয়নের জন্য একটি পয়েন্টও চুক্তিতে নেই। স্বাধীন এলাকা (আজাদ কাশ্মীর) হিসেবে প্রায় ৪ হাজার স্কোয়্যার মাইল জায়গার উপর নিয়ন্ত্রণ চালাচ্ছে পাকিস্তান। অথচ তাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ২৮ হাজার স্কোয়্যার মাইল জায়গা দেওয়া হয়েছে।
১৯৪৯ সালে করাচি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইসলামাবাদে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেখানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কোনও ভাগ বাঁটোয়ারা ছাড়াই পাকিস্তানের সরকার চলবে বলে জানানো হয়েছিল। তখন থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট বালটিস্তানের মানুষের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করতে থাকে পাক প্রশাসন। যখন এলাকার দায়িত্ব নেয় তারা, তখন তার পরিবর্তে এলাকার মানুষকে তাদের মৌলিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, গণতান্ত্রিক ও জাতীয় অধিকার দেয়। এলাকাটিকে তারা দেশের উত্তরাংশের অন্তর্ভূক্ত করে। কিন্তু বাস্তব তখন থেকেই আলাদা। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট বালটিস্তানের মানুষ এখন এই চুক্তি সম্পূর্ণ বাতিল করার দাবি জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে তারা সমস্ত অধিকার ফেরতেরও দাবি জানাচ্ছে।
মাকসুদ আরও জানিয়েছেন, করাচি চুক্তির সমস্ত চুক্তি বাতিল করার দাবি জানিয়েছে তারা। চুক্তি যখন স্বাক্ষরিত হয়, তখন থেকে এখনকার পরিস্থিতি অনেক আলাদা। আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট বালটিস্তানের মানুষের সমস্যা এখন পাকিস্তান সরকারের পুনর্বিবেচনা করা উচিত ও তার সমাধান কার উচিত। দুই এলাকা থেকেই যাতে সঠিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করা হয়, তা দেখা দরকার। ইসমালাবাদ যে রাজনৈতিক চুক্তি করেছে, তা নিয়ে এলাকার মানুষ ভুগছে। এই দুই স্থানে বিশাল পরিমাণে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। এই সময়ে পাকিস্তানের উচিত এলাকার মানুষের কথা শুনে তাদের অসন্তোষ থামানো। নাহলে হয়তো পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.