সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাকৃতিক বিপর্যয়, ঋণের বোঝায় জর্জরিত পাকিস্তান। দেশ চালাতে ব্যর্থ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। এহেন পরিস্থিতিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) বাসিন্দারা ভারতের নাগরিকত্ব নিতে চাইছেন বলে দাবি করলেন পাকিস্তানি সমাজকর্মী আমজাদ আয়ুব মির্জা। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে (Pakistan) নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। অনেক সময়ে পয়সা খরচ করলেও পাওয়া যাচ্ছে না দরকারি জিনিসপত্র। সেই জন্যই ভারতে আশ্রয় নিতে চাইছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা।
আয়ুব মির্জা বলেছেন, “খাবারের সন্ধানে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একদিনেই অনেকটা বেড়েছে খাদ্যসামগ্রীর দাম। এক ধাক্কায় আটার দাম ১২০০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। এমনকি সরকারের তরফে রেশনের ব্যবস্থাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ বিরক্তির চরম সীমায় পৌঁছেছে। পাক অধিকৃত গিলগিট-বালুচিস্তানের প্রত্যেকটি শহরেই প্রতিবাদে সরব হয়েছে সাধারণ মানুষ। পড়ুয়া থেকে শুরু করে মহিলারাও পথে নেমে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন।” মির্জা আরও জানিয়েছেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের যুবসমাজের মুখে এখন নতুন স্লোগান, “টুটে রিশ্তে জোড় দো”। অর্থাৎ একটা সময়ে ভারতের অংশ থাকা অঞ্চলগুলি আবার কাশ্মীর ও লাদাখের সঙ্গে জুড়ে যাক।
জানা গিয়েছে, ঋণ মেটানোর বোঝা চেপেছে পাক জনসাধারণের ঘাড়েই। আটা-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যবস্তুর দাম প্রায় ১৩৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অন্য এক সমস্যাও রয়েছে। খালসা সরকার করের দ্বারা গিলিগিট ও বালুচিস্তানের যেকোনোও পরিত্যক্ত জায়গায় সেনা ছাউনি বানানোর অধিকার রয়েছে পাকিস্তানের। সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ জমা হচ্ছিল সাধারণ মানুষের। আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে সরকারের প্রতি বিদ্বেষ আরও বেড়েছে।
চিন-সহ একাধিক দেশ থেকে বিপুল পরিমাণে ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (IMF) থেকেও ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় বন্যার পরে। ভয়াবহ বন্যায় ডুবে যায় দেশের এক তৃতীয়াংশ। তার জেরেই প্রায় নিঃশেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডার। বন্যার পর পাক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ৯০০ কোটি ডলার দিয়ে সাহায্যের প্রতিশ্রতি দেয় একাধিক দেশ। তবে এত ঋণ নিলেও শোধ করার উপায় জানা নেই পাকিস্তানের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.